চলছে ভ্যাকসিন দেওয়া। — ফাইল চিত্র।
হাতে রয়েছে আর আট দিন। তার মধ্যে হুগলি জেলায় হাম ও রুবেলা টিকাকরণ ১০০% সম্পূর্ণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। কারণ, মাত্র দু’টি এলাকায় এখনও পর্যন্ত ওই কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলার কিছু অংশে ছেলমেয়েদের টিকাকরণে এক শ্রেণির অভিভাবকদের অনীহার কারণে এই কর্মসূচির গতি এখনও কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছয়নি বলে তাঁরা মেনে নিয়েছেন।
হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ন’মাসের শিশু থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়ের ওই টিকাকরণ শুরু হয় গত ৯ জানুয়ারি থেকে। তা শেষ হওয়ার কথা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। হুগলিতে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ জনের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সার্বিক ভাবে ৮৬% টিকাকরণ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
কিছু জায়গায় যে টিকাকরণে অনীহা রয়েছে, স্বীকার করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ব্লক এবং পুর এলাকার যে সব জায়গায় ফাঁক আছে, সেগুলি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী এবং আধিকারিকরা সচেতনতা প্রচার এবং বৈঠক করছেন। যারা নিতে চাইছে না, তাদের বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। টিকাকরণে বাধা কাটাতে ক্ষেত্র অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করছি।’’
কী রকম পরিকল্পনা?
বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকারারহ বিশিষ্ট মানুষ এবং ক্লাবগুলির সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতগুলিতেও বলা হচ্ছে। এতে ফল মিলছে জানিয়ে পুরশুড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত বাগ বলেছেন, “বিশিষ্ট মানুষদের সহযোগিতায় টিকার ঘাটতির জায়গাগুলি অনেকটাই সরল হয়ে গিয়েছে। যেমন, বড়দিগরুইঘাটে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে সেখানে ৮০ শতাংশের বেশি টিকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্লকে সার্বিক ভাবে ৯৪ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাম এবং রুবেলা— দু’টি রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে ২০১৮ সাল থেকে এই টিকাকরণ চালু হয়েছে। দু’টি রোগই ভাইরাসঘটিত অতি সংক্রামক। যে কোনও বয়সে হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ১০০% টিকাকরণ হয়েছে শুধুমাত্র চন্দননগর পুর এলাকা এবং গোঘাট-২ ব্লকে। হরিপাল ব্লকে ৯৯% টিকাকরণ হয়েছে।