—প্রতীকী চিত্র।
খানাকুল ১ ব্লকের অরুন্ডা পঞ্চায়েতে উপ-সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় বুধবার রাতে আরও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চায়েত চত্বরে পুলিশের উপর হামলা, পঞ্চায়েতের নথিপত্র পোড়ানো এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।
এসডিপিও(আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান জারি আছে।’’
অন্যদিকে, ঘটনার দিন পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন ভণ্ডুল তো হয়েছেই। পঞ্চায়েতও বন্ধ। পঞ্চায়েত আধিকারিক বা কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে যাচ্ছেন না। ফলে, প্রাথমিক পরিষেবা, জন্ম, মৃত্যু, উত্তরাধিকার ইত্যাদি শংসাপত্রোর মতো জরুরি পরিষেবা-সহ কাজই বন্ধ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, "এমনিতে উপ-সমিতি নেই। তার উপর কয়েক মাসের ব্যবধানে দু'বার আগুনে ভবনটার অবস্থা খারাপ। সার্বিক নিরাপত্তা নেই। কাজের জিনিসপত্র নেই। দেখছি কী করা যায়।’’
গত ২৫ মে রাতে আগুনে একদফা ভস্মীভূত হয় অরুন্ডা পঞ্চায়েতের তেতলা ভবনের মূল কার্যালয়। ফের গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজনৈতিক অশান্তিতে আগুন লাগানো হয়।