Howrah

বাড়িতে ভোট দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু বৃদ্ধার

শুক্রবার দুপুরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নিমবালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত্যুর আগে বৃদ্ধার ইচ্ছা পূরণে খুশি পরিবারের সদস্যেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ০০:০৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়িতে ভোট দেওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু এক বৃদ্ধার। শুক্রবার দুপুরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নিমবালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত্যুর আগে বৃদ্ধার ইচ্ছা পূরণে খুশি পরিবারের সদস্যেরা।

Advertisement

মৃতা গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় (৮৯) জগৎবল্লভপুরের নিমবালিয়া সিংহবাহিনী গ্রামের বাসিন্দা। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন কার্যত শয্যাশায়ী ছিলেন। প্রায়ই শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। তা সত্ত্বেও তিনি স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে পারতেন। এ বার লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই তিনি তাঁর মেজো ছেলে স্বপন মুখোপাধ্যায়ের কাছে ভোটদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ বছর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বাড়িতে গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই খবর জানতেই মায়ের ভোটের জন্য তাঁর ছেলে জগৎবল্লভপুরের বিডিও অফিসে যোগাযোগ করেন। প্রশাসন থেকে শুক্রবার দুপুরে বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে ভোট নিতে যান। সেই সময় গায়ত্রী বিছানায় শুয়ে ছিলেন। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, মা আধিকারিকদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বৃদ্ধার নাতনির সহযোগিতায় ১২ডি ফর্মের তিন জায়গায় বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে টিপ সই দেন। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার পর শেষ বার নাতনির হাতে জল খান। এর পর ১০ মিনিটের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

বৃদ্ধার ছেলে স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসতেন। বলতেন মেয়েটা খুব ভাল। তাঁকেই আমার পছন্দ। তাই কোথায় ভোট দিতে চাও, প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন মমতার দলকে। ভোট দেওয়ার পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।’’ কিন্তু মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে খুশি পরিবারের সদস্যেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement