এই কার্যালয়েরই দ্বারোদঘাটন হল। নিজস্ব চিত্র।
মাসখানেক আগে ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির ৬০৭টি রাস্তার মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশের। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশিকায় প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়ন, তহবিল ব্যবহার এবং রেকর্ড রাখা যথাযথ হচ্ছে কি না, তার নিয়মিত নজরদারি এবং পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হল।
নজরদারির এই ব্যবস্থাপনা নিয়ে হুগলি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিদর্শন এবং নজরদারি ব্যবস্থায় প্রকল্পগুলির স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে অভিযোগগুলি কমবে। একই সঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণে দক্ষতা বাড়বে। স্থানীয় অভিযোগগুলিরও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।’’
রাস্তার কাজগুলিতে কোন স্তরের আধিকারিক কত শতাংশ পরিদর্শন করবেন, সেই মাপও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নজরদারিতে পৃথক ভাবে নামানো হচ্ছে প্রশাসনিক কর্তা এবং কারিগরি আধিকারিকদের। বিডিও, যুগ্ম বিডিও এবং বিভিন্ন দফতরের সম্প্রসারণ আধিকারিকদের দেখতে হবে ১০০ শতাংশই। তারপরেও সেই কাজগুলির ২০ শতাংশ যাচাই করবেন মহকুমাশাসক-সহ মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা। সার্বিক ভাবে মোট কাজের ২৫ শতাংশ খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ জেলার বিভিন্ন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা।
অন্য দিকে, কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে ব্লক স্তরে কর্মরত একশো দিন কাজ প্রকল্প-সহ বিভিন্ন বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা ১০০ শতাংশ নজরদারি করবেন। মহকুমা ও জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের দেখতে হবে ১০০ শতাংশ। তার উপরে জেলা ইঞ্জিনিয়ার ১০ শতাংশ এবং সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ১ শতাংশ কাজ যাচাই করে নেবেন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই দফতরের আধিকারিকদের কাজের গুণাগুণের সঙ্গে দেখতে হবে, কাজটি নিয়ে স্থানীয় জনগণের প্রতিক্রিয়া। সর্বোপরি একশো দিন কাজ প্রকল্পের অদক্ষ শ্রমিকেরা কাজ পাচ্ছেন কি না, তা-ও নজর রাখতে হবে। পরিদর্শন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত করতে হবে।
রাস্তার কাজগুলিতে কত জন একশো দিন কাজ প্রকল্পের অদক্ষ শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন? জেলা প্রশাসনের কর্তা বলেন, ‘‘সেই হিসাব এখনও চলছে।’’ প্রকৃতপক্ষে রাস্তার কাজে ১০-১৫ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিককে কাজ দেওয়া যেতে পারে বলে তিনি জানান।