Mahesh

Ratha Yatra: অনলাইনে পুজো, ভোগ মিলবে কুরিয়ারে, দু’বছর পর ফের রথযাত্রা মাহেশে

৬২৬ বছরে পড়ল মাহেশের রথযাত্রা। জনশ্রুতি, স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ দেবকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ১৭:৪৫
Share:

মাহেশের রথ। ফাইল চিত্র।

করোনা অতিমারি পর্বে গত দু’বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা। এ বার ফের চাকা গড়াবে হুগলির ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রথযাত্রার সময় নির্ঘণ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে।

Advertisement

৬২৬ বছরে পড়ল মাহেশের রথযাত্রা। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী এই রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন। জনশ্রুতি, স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ দেবকে। সেই থেকেই চলে আসছে ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথ। বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই রথযাত্রার সঙ্গে। শ্রীচৈতন্যদেব রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে বহু মনীষীর আগমন ঘটেছে এখানে। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাধারানী’ গল্পে মাহেশের রথের মেলার উল্লেখ আছে। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন এই রথযাত্রা উৎসব পুরীর পরেই নাম আছে মাহেশের। এত বছর পরেও আজও একই রকম ভাবে ভক্তদের উন্মাদনা দেখা যায়। রথযাত্রার সাক্ষী হতে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে ভিড় জমান। যদিও গত দু’বছর বন্ধ ছিল এই রথযাত্রা।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার থেকে শুরু করে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। মহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো কাজও এগিয়েছে। নাটমন্দির-সহ মন্দিরগুলি সংস্কার হয়েছে। ভোগের ঘর জগন্নাথ মন্দিরের কাছে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে।

Advertisement

কিন্তু রথের দিন পুজোর ভোগ নিবেদনের জন্য ভক্তদের প্রণামীর যে তালিকা সামনে এসেছে তাতে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ভোগের জন্য এক জন ভক্তকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচা করতে হবে শুনে প্রশ্ন উঠছে, অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোবে কি না। জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালে সারা বছরের পুজোর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের একটি খরচের তালিকাও টাঙানো হয়েছে। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী যদিও এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছেন না। তাঁর দাবি, পুরীর মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দিরে এই ধরনের পুজোর খরচ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের খরচের তালিকা দেওয়া হয়। ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রে যে দর ধার্য করা হয়েছে তা ভক্তদের উপরেই ছাড়া হয়েছে। তাঁরা রাজি থাকলে নিতে পারেন। যা অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেকটাই কম বলেও দাবি পিয়ালের। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘কেউ পুজো দেওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করতে চাইলে অনলাইনে করতে পারেন। তাঁদের ভোগ কুরিয়ার করে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement