গীতা পাত্র। অভিযোগকারিণী। নিজস্ব চিত্র।
দিব্যি বেঁচে রয়েছেন অথচ তাঁকেই মৃত ঘোষণা করে বিধবা ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডানকুনিতে। তবে পুরসভা জনিয়েছে, যদিও এমন হয়ে থাকে, সেই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।
ডানকুনি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতা পাত্রের অভিযোগ তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র জমা পড়েছে পুরসভায়। কে জমা দিল, কেন জমা দিল বলতে পারছে না কেউই। আর তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। গীতাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতা। ২৮ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। গত দশ বছর ধরে বিধবা ভাতা পেয়ে আসছিলেন গীতা। কিন্তু তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুরসভায় ছুটেছিলেন কারণ জানতে। গীতার অভিযোগ, পুরসভা থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তঁর মৃত্যুর শংসাপত্র জমা পড়েছে। অতএব ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। এই কাজের জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন গীতা।
পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। ভাতা পেলে কিছুটা সুরাহা হয় বলে জানিয়েছেন গীতা। জীবিত হয়েও তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র কী ভাবে জমা পড়ল তার কোনও সদুত্তর পাননি। পুরসভায় দৌড়াদৌড়ি করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
পুরসভার প্রশাসক অচিন্ত্য কর্মকার এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ রকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভার দিক থেকে কোনও ভুল হয়েছে কিনা দেখতে হবে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। ওই প্রৌঢ়াকে বলেছি পুজোর আগেই কিছু টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে কেন এমন হল। প্রৌঢ়া যাতে ভাতা পান তার ব্যবস্থা করা হবে।”