সেই রক্তের প্যাকেট হাতে রোগীর পরিবারের সদস্য। নিজস্ব চিত্র।
মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত সরবরাহের অভিযোগ উঠল হুগলির ইমামবাড়া জেলা সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। শনিবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক বালককে রক্ত দেওয়ার আগে বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সের নজরে আসে। ছেলেটির বাড়ির লোকেরা হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দুবিকাশ মণ্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। সুপার ওই রক্ত বাতিলের নির্দেশ দেন। অন্য এক ইউনিট রক্ত ওই বালককে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেন সুপার। ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রক্তের মেয়াদ শেষ হয়নি। কাগজে তারিখ লিখতে ভুল হওয়াতেই বিভ্রান্তি।
আর্য চৌধুরী নামে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বছর দশেকের ওই বালকটি কুন্তীঘাটের বাসিন্দা। প্রতি মাসেই রক্ত দিতে হয়। শনিবার সকালে রক্ত দেওয়ার জন্য ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন বাবা প্রশান্ত। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এক ইউনিট রক্ত নিয়ে ওয়ার্ডে দেন। নার্স দেখেন, রক্তের মেয়াদ মঙ্গলবার শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশান্ত বলেন, ‘‘রক্তটা ছেলেকে দেওয়া হলে কী হত, ভেবে শিউরে উঠছি। ভাগ্যিস নার্স নজর করেছিলেন। এমন গাফিলতি কী করে হয়!’’
যে রক্ত নিয়ে বিতর্ক, সেটির প্যাকেটে দেখা যায়, ওই রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে গত ২১ সেপ্টেম্বর। মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটি কোনও কারণে মুছে গিয়েছে। ‘ক্রস ম্যাচিংয়ের’ কাগজে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ রয়েছে ৫ অক্টোবর। অর্থাৎ, গত মঙ্গলবার।
ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের দাবি, ওই রক্তের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কথা ২৫ অক্টোবর। ‘ক্রস ম্যাচিংয়ের’ কাগজে ভুল করে ৫ অক্টোবর লেখা হয়েছে। এই ভুল যে বাঞ্ছনীয় নয়, তারা মানছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রক্তের প্যাকেটের গায়ে লেখা নথি দেখে কাগজ মিলিয়ে সংগ্রহের তারিখ, রক্তদাতার নাম সবই বের করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।’’