—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতিতে আধার তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডিলারদের কার্যালয়ের সামনে লম্বা লাইন পড়ছে রান্নার গ্যাসের গ্রাহকদের। তাঁদের অনেকেই বয়স্ক, অসুস্থও। সরকারি আদেশের কথা শুনে তাঁরাও সেই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এই ধরনের মানুষদের দুর্ভোগ এড়াতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাল নাগরিক সংগঠন ‘অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম’। এই মর্মে তাদের তরফে সোমবার কলকাতায় ওই সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারকে ই-মেল পাঠানো হয়েছে।
ফোরামের সভাপতি শৈলেন পর্বতের ক্ষোভ, বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের সময়সীমা সরকার বা তেল সংস্থা নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি। শোনা যাচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রক্রিয়া সারতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বিভ্রান্ত হয়ে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ বা উজ্জ্বলা যোজনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি আটকে যাওয়ার ভয়ে মানুষজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘বয়স্ক, অসুস্থ বা প্রতিবন্ধী মানুষদের কথা কেন ভাবা হচ্ছে না! কষ্ট করে তাঁদের যাতে লাইনে দাঁড়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে প্রযুক্তিগত ভাবে ওই তথ্য নেওয়া হোক। হাওড়া ও হুগলি জেলায় দু’এক জন বাদে কোনও ডিলার তা করছেন না। ওই তথ্য যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হোক।’’
ওই সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, বয়স্কদের অনেকেই হাঁটু বা কোমরের ব্যথায় ভাল ভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। অনেকের ক্ষেত্রে শরীরের অন্য সমস্যাও রয়েছে। এই ধরনের গ্রাহকেরা বায়োমেট্রিকের লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ডিলারদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, বয়স্ক এবং অসুস্থদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হবে। তবে, কাউন্টারের ভিড় সামলে এখনও তা করা সম্ভব হয়নি।