ভোলু কর্মবীর ঈশ্বর জাঠ। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার বালির বাসিন্দা, তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে খুনের মামলায় অভিযুক্ত ‘সিরিয়াল কিলার’ রাহুল ওরফে ভোলু কর্মবীর ঈশ্বর জাঠকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল রেল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পুনর্নির্মাণের সময়ে ভোলু স্বীকার করে নিয়েছে যে, সে-ই সৌমিত্রকে মেরেছে। ওই দিন ট্রেনের মধ্যে সে কী ভাবে সৌমিত্রকে খুন করেছিল, তা অভিনয় করে দেখিয়েছে ভোলু। রেল পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ওই পুনর্নির্মাণ পর্বের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। যা সময় মতো আদালতে পেশ করা হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ভোলুকে মুম্বই থেকে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়। সে দিনই
আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে পুলিশ ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের আবেদন করলে আদালত
অনুমতি দেয়। সেই মতো এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা কাটিহার এক্সপ্রেসের সেই প্রতিবন্ধী কামরায় নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, কামরাটি আগে থেকেই সিল করা ছিল। সেই সিল খুলে আসামিকে কামরার ভিতরে নিয়ে গিয়ে দেখাতে বলা হয়, কী ভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল।
রেল পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ভোলু এ দিন দেখিয়েছে, কী ভাবে সে ওই তবলাবাদককে খুন করেছিল এবং তার পরে কী কী করেছিল। ওই সিরিয়াল কিলার কার্যত এ দিন স্বীকার করে নিয়েছে যে, খুনটা সে-ই করেছে।’’ তদন্তকারীরা জানান, খুন করার পরে ভোলু কী ভাবে ট্রেন থেকে নেমে পালিয়েছিল, তা-ও অভিনয় করে দেখিয়েছে সে।
এর আগে ভোলু পুলিশকে জানিয়েছিল, বিড়ি খাওয়া নিয়ে গোলমালের জেরে সে ওই তবলাবাদককে কাটিহার এবং মালদহ স্টেশনের মাঝে খুন করে। তার পরে আজিমগঞ্জ স্টেশনে নেমে যায়। সেখান থেকে হাওড়ায় এসে সে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন ধরে এ রাজ্য থেকে পালায়। তদন্তকারীরা জানান, ভোলু এ দিন পুনর্নির্মাণের সময়েও
একই কথা কবুল করেছে।