রাজধানীর পুলিশের নজরে থাকা ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিক খানাকুলের ঘাশুয়ার বাসিন্দা রীতা জানা। নিজস্ব ছবি।
বাড়ি বাড়ি আয়ার কাজ করেন মহিলা। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন! অনেক দিন ধরেই বিষয়টি নজরে ছিল তদন্তকারীদের। এ বার খতিে দেখতে বুধবার হুগলির খানাকুলে হাজির হল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানীর পুলিশের নজরে থাকা ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিক খানাকুলের ঘাশুয়ার বাসিন্দা রীতা জানা। বর্তমানে আয়ার কাজ করলেও এককালে একটি অর্থলগ্নি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। বুধবার তাঁকে বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। পরে তাঁকে ৪১-এ (তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ডেকে পাঠানো) নোটিসও ধরানো হয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, রীতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি সাইবার প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হত। প্রতারণার অর্থ জমা হত ওই অ্যাকাউন্টে। বর্তমানে রীতার অ্যাকাউন্টে ৪৯ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রীতা অবশ্য দাবি, তিনি প্রতারিত হয়েছে। গত বছর দুর্গাপুজোর সময় তাঁর পরিচিত নির্মাল্য ঘোষ নামে এক ব্যক্তি নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে ওই অ্যাকাউন্টটি খুলে দেন। তার পর থেকে সেই অ্যাকাউন্টের বিনিময়ে মাসে ৪ হাজার টাকার পেতেন রীতা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের দ্বারস্থও হন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করে দেখছে। তাদের একটি দল খানাকুলে এসেছিল। মহিলার বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছে, আর কে কে এই কারবারে জড়িত, সব তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশ।’’