Train accident

Accident: এসেছিলেন ‘ছেলে’ দেখতে, ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে শেষপর্যন্ত মৃত্যুই হল সেই প্রৌঢ়ের

চন্দনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনিতে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরতে ডানকুনি থেকে তিনি ট্রেন ধরেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:২৭
Share:

মারা গেলেন ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া যাত্রী। প্রতীকী ছবি।

হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার লড়াই। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল হুগলির ডানকুনিতে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া সেই যাত্রীর। নিহত চন্দন প্রচণ্ড (৫৫) মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনের বাসিন্দা।
চন্দনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনিতে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফেরার জন্য ডানকুনি থেকে তিনি ট্রেন ধরেন। স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর ট্রেন এলে তাতে উঠে পড়েন চন্দন। তবে ভিড় থাকায় ট্রেনের দরজাতেই ঝুলতে হচ্ছিল তাঁকে। সেই অবস্থায় কিছুটা যাওয়ার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। ধাক্কা লেগে থেকে ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। আহত যাত্রীর শ্যালক জগৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘জামাইবাবু ট্রেনে ওঠার পর বলছিলেন, ‘এত ভিড়ে কী করে যাওয়া যাবে। অথচ সরকার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর কথা বলছে।’ এ সব বলতে বলতেই দুর্ঘটনা ঘটে। উনি ঠিকমতো পা রাখতে পারেননি। আচমকা একটা ধাক্কায় ট্রেন থেকে পড়ে যান।’’

Advertisement

রেলপুলিশ (জিআরপি)-এর সাহায্যে তড়িঘড়ি চন্দনকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান সহযাত্রীরা। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে কলকাতা যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ফের উত্তরপাড়া হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। চন্দনের শ্যালক আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমার মেয়ের জন্য ছেলে দেখতে জামাইবাবুকে নিয়ে ডানকুনি এসেছিলাম। প্রচণ্ড ভিড়ে আমি পরিবার নিয়ে উঠতে পারলেও জামাইবাবু চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেলেন। এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement