হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী। নিজস্ব চিত্র
ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। জখম সেই কিশোরীকে নর্দমা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠানো হল হাসপাতালে। চাঞ্চ্যল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চন্দননগরের বিলকুলি এলাকায়।
বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি ভদ্রেশ্বরের নবগ্রাম এলাকার হরিজনপল্লিতে। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাড়িতে অশান্তি হয়েছিল তাকে নিয়ে। রাত ৮টা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকেই তার আর খোঁজ মিলছিল না। বুধবার রাতভর খোঁজাখুঁজি চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে চন্দননগর বিলকুলি এলাকার একটি নর্দমা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার হয় করে স্থানীয়রা। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীর।
ওই কিশোরীর অভিযোগ, ‘‘আমি মোবাইল রিচার্জ করতে যাচ্ছিলাম। সে সময় পিছন থেকে আমার মুখে রুমাল চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায় ঘণ্টা নামে এক যুবক। তার বাড়ি কোথায় জানি না। তবে সে আমাকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। ফোন নম্বরও চাইত। আমি দিইনি। সে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। আমি তাকে বাধা দেওয়ায় আমার গলার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর পর আমার আর কিছু মনে নেই।’’
এই ঘটনায় ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই কিশোরীর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘণ্টা নামে ওই যুবকের ভাল নাম পার্থ চৌধুরী। সে চন্দননগরের পুরশ্রী এলাকার বাসিন্দা। তার খোঁজ চলছে।