ফেরানো হচ্ছে আমেরিকার অবৈধবাসীদের। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকা থেকে পানামা হয়ে ভারতে ফিরলেন আরও ১২ জন অবৈধবাসী। রবিবার দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে তুরস্কের একটি বিমান। সেই বিমানেই ছিলেন ওই ১২ জন। এই ১২ জনের মধ্যে চার জন পঞ্জাবের বাসিন্দা, তিন জন হরিয়ানা এবং তিন জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জন অবৈধবাসীকে নিয়ে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১১৬ জন অবৈধবাসীকে নিয়ে অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল আমেরিকার সামরিক বিমান। এ বার অবশ্য অবৈধবাসীরা এলেন তুরস্কের বিমানে চেপে, পানামা, ইস্তানবুল হয়ে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় অবৈধ ভাবে বসবাস করা এই ভারতীয়রা পানামার একটি হোটেলে বন্দি ছিলেন। পানামার একটি হোটেলে ছিলেন প্রায় ৩০০ জন অবৈধবাসী, যাঁরা বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। এই বন্দিদের মধ্যে কত জন ভারতীয়, তা স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, পানামা এবং কোস্টারিকা আমেরিকার অবৈধবাসীদের তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকা এবং অবৈধবাসীরা যে দেশের নাগরিক, এই দুইয়ের মধ্যে সেতুবন্ধনে রাজি হয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট। তবে একটি সূত্রের খবর, পানামায় থাকা অনেক অবৈধবাসীই স্বেচ্ছায় নিজেদের দেশে ফিরতে চাইছেন না।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, পানামায় যাঁরা নির্বাসিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ ভারতীয় থাকলে ফিরিয়ে আনা হবে। দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে ফিরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় কঠোর অভিবাসন নীতি প্রয়োগ করেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়া অবৈধবাসীদের চিহ্নিত করে তিনি তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন। কঠোর করছেন সীমান্ত আইনও। সম্প্রতি আমেরিকা সফর সেরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অবৈধবাসী সমস্যা নিয়েও তাঁর আলোচনা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, আমেরিকা-ফেরত এই অভিবাসীদের গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত।
এর আগে অবৈধবাসীদের নিয়ে ভারতে পর পর তিন বার এসেছে মার্কিন বিমান। দেশের মাটিতে পা রেখে অবৈধবাসীরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। পায়ে শিকল বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের রাখা হয়েছে বিমানে। এমনকি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউকে শৌচাগার ব্যবহার করতেও দেওয়া হয়নি। অবশ্য এই ১২ জনের অভিজ্ঞতা কেমন, তা স্পষ্ট নয়।