ধৃত জামতাড়া গ্যাংয়ের ১ সদস্য। নিজস্ব চিত্র।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সূত্র ধরে জামতাড়া গ্যাংয়ের ১ সদস্যকে গ্রেফতার করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেল। ধৃতের নাম রথীন গোপ। তার বয়স বছর পঁচিশেক হবে। চন্দননগরের বোসপাড়ার বাসিন্দা দীপককুমার দাসের সঙ্গে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয় মাস তিনেক আগে। চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের পর তদন্ত শুরু করে সাইবার সেল। তার পরেই মঙ্গলবার দুর্গাপুর থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
গত বছর ১ ডিসেম্বর চন্দননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দীপক। তাঁর এইচপি রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাবে বলে কেউ এক জন ফোন করেন। ভর্তুকি চালু রাখতে এটিএম কার্ডের ডিটেলস চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই তথ্য দিতেই দীপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি ৫২ হাজার ৫০০ টাকা সরিয়ে নেয় প্রতারক। থানায় অভিযোগের পর চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেল তদন্তে নামে।
এর আগেও একাধিক বার এই কায়দায় প্রতারণা অভিযোগ পায় চন্দননগর পুলিশ। চন্দননগরের এসিপি সাইবার সেল মৌমিতা সেন বলেন, “ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং এই ধরনের প্রতারণা আগেও করছে। আমাদের কাছে সে তথ্য ছিল। দীপকের টাকা উধাও হওয়ার পর মোবাইল ফোন আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে তদন্তে দেখা যায় এ ক্ষেত্রেও জামতাড়া গ্যাংই জড়িত।”
অভিযুক্তকে ধরতে জামতাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে পালিয়ে যায় রথীন। বীরভূমে গা ঢাকা দিলে সেখানেও হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। অবশেষে দুর্গাপুর থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে রথীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাকে চুঁচু্ড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এসিপি জানান, এই জামতাড়া গ্যাঙের কাছে এইচপি গ্যাসের সব গ্রাহকের তথ্য রয়েছে। এরা এক একটা জোন ধরে ধরে গ্রাহকদের ফোন করে ফাঁদে ফেলে। কেউ এটিএমের তথ্য দিতে না চাইলে কুইক সাপোর্ট অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে মোবাইল হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে প্রতারণা করে। জামতাড়া গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান মৌমিতা।