প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্বামী। অভিযোগ, প্রথমে স্ত্রীর গলায় ছুরির কোপ বসান তিনি। তার পর বাড়িতে থাকা অ্যাসিড খেয়ে নেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে বেলুড় হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই যুবকের। তাঁর স্ত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকার সাপুই পাড়ার রবীন্দ্রপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার বাসিন্দা শম্ভু সরকারের সঙ্গে বছর কয়েক আগে বিয়ে হয় সমিরানীর। তবে নানা কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তার জেরেই সমিরানীকে খুন করেছেন শম্ভু। তার পর নিজেকেও শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবেশীদের দাবি, সোমবার সকালে শম্ভু এবং সমিরানীর মধ্যে ঝামেলা চরমে ওঠে। সে সময়ই ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে দেন শম্ভু। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে যান সমিরানী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরই শম্ভু অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অন্য দিকে, শম্ভুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার পরই স্পষ্ট হবে, কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুর তিনটি বিয়ে। সমিরানী তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের উভয় পক্ষের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। শম্ভু ডানকুনির একটি বেসরকারি তেলের কারখানায় প্যাকেজিংয়ের কাজ করতেন। অভিযোগ, স্ত্রীর নামে থাকা দেড় কাঠা জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চাইছিলেন শম্ভু। কিন্তু সমিরানী তাতে রাজি ছিলেন না। তাই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’জনের মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেই ঝামেলা থেকেই খুনের ঘটনা কি না তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।