Dead

মৃত্যুর পরে খোঁজ মিলল ভিন্ রাজ্যের প্রৌঢ়ের

বুধবার হাওড়া পুলিশ মর্গে বাবার দেহ নিতে এসে ছেলে অজয় সিয়াসের দাবি, নিখোঁজ হওয়ার পরে এ রাজ্যে থেকে দিনের পর দিন বাবাকে তিনি খুঁজে বেড়িয়েছেন। তখন কেউ সন্ধান দেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১০
Share:

রমেশ সিয়াস নামে ৬৪ বছরের ওই ব্যক্তি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন। প্রতীকী ছবি।

বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলায় এসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের খোঁজ মিলল এক মাস পরে। তবে জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে মধ্যপ্রদেশে প্রৌঢ়ের পরিবারকে জানানো হয়, রমেশ সিয়াস নামে ৬৪ বছরের ওই ব্যক্তি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন।

Advertisement

বুধবার হাওড়া পুলিশ মর্গে বাবার দেহ নিতে এসে ছেলে অজয় সিয়াসের দাবি, নিখোঁজ হওয়ার পরে এ রাজ্যে থেকে দিনের পর দিন বাবাকে তিনি খুঁজে বেড়িয়েছেন। তখন কেউ সন্ধান দেননি। অথচ, মৃত্যুর পরে মধ্যপ্রদেশে খবর পৌঁছে গিয়েছে অনায়াসে। ছেলের প্রশ্ন, যখন তাঁর বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখন পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন খবর দিল না? এ নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও পুলিশের মধ্যে শুরু হয়েছে দায় ঠেলাঠেলি।

দুই বন্ধুর সঙ্গে গত মাসে গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটের বাসিন্দা রমেশ। গত ১৬ জানুয়ারি পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষ বার কথা হয়। এর পরে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পেরে মধ্যপ্রদেশ থেকে পরিবারের সদস্যেরা এসে গত ১৮ জানুয়ারি সুন্দরবন পুলিশেরকাছে প্রৌঢ়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। এক মাসে তিন দফায়তাঁরা এ রাজ্যে আসেন বলে দাবি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রৌঢ়কে খোঁজার চেষ্টা করে।

Advertisement

অজয় বুধবার বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও পুলিশ সুপারকে ইমেল করে ঘটনাটি জানাই। তার পরেও পুলিশ বা প্রশাসনের তরফেকোনও সদুত্তর পাইনি। আমার প্রশ্ন, বাবা হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন পুলিশ কেন আমাদের খবর দেয়নি?’’

এ দিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থতার কথা জানিয়ে নিজেই ভর্তি হতে চান। গায়ে-হাতে ব্যথা ও জ্বর নিয়ে সেখানে ভর্তি হন তিনি। হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওই প্রৌঢ়ের কাছ থেকে সেই সময়ে তাঁর বাড়ির কোনও ফোন নম্বর মেলেনি। তাঁর সঙ্গে বাড়ির লোক না থাকায় প্রৌঢ় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেবাড়ির ঠিকানা জেনে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ কেস লেখা হয়েছিল। সেখানেই প্রৌঢ়ের নাম, ঠিকানা হাওড়া থানাকে জানানো হয়। পুলিশ তার পরেও বাড়ির লোককে কেন হাসপাতালে ভর্তির কথা জানায়নি, বলতে পারব না।’’

পুলিশের দাবি, হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে এ রকমকোনও তথ্য হাওড়া থানায় আসেইনি। এ ধরনের তথ্য এলে সাধারণততারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে জানায়। কিন্তু রমেশ সম্পর্কে থানায় কোনও তথ্য না আসায়, তারা তা জানাতে পারেনি। বিষয়টিতে হাসপাতালের তরফে কোনওভুল হয়েছে বলে দাবি করছে হাওড়া থানার পুলিশ।

এ দিকে, প্রৌঢ়ের দেহের ময়না তদন্তের অপেক্ষায় ছিল তাঁর পরিবার। অন্ত্যেষ্টির জন্য এ দিন সন্ধ্যায় দেহ নিয়ে হাওড়া থেকে মধ্যপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দেন প্রৌঢ়ের পরিজনেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement