Farmer Shot

ঋণ শোধ না করায় হামলা ও গুলি

পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম পরিতোষ বিশ্বাস। বাড়ি আরামবাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘিয়ায়। মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু-সহ অন্য জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ০৬:১৩
Share:

জখম অর্জুন রায়। চিকিৎসাধীন আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

ঋণের টাকা এবং তার সুদ দিতে না পারায় এক চাষির বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে গোঘাটের মথুরা গ্রামের ঘটনা। বাঁ হাতে কব্জির নীচে গুলি লেগে আহত হয়েছেন ফটিক রায় নামে ওই চাষির ছেলে অর্জুন। গুলি কব্জি ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগের তির সুদের কারবারি কৃষ্ণেন্দু সাহা এবং তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মোটরবাইকে আসা তিন জনের মধ্যে কৃষ্ণেন্দু-সহ দু’জন গুলি চালাতে-চালাতে দৌড়ে পালালেও প্রতিবেশীরা একজনকে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম পরিতোষ বিশ্বাস। বাড়ি আরামবাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘিয়ায়। মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু-সহ অন্য জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ফটিকের বাড়ি ও লাগোয়া এলাকা থেকে চারটি ফাটা গুলি উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইকটি। রবিবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে পাঠানো হলে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশদেন বিচারক।

Advertisement

মথুরার ক্ষুদ্র চাষি ফটিক বছর তিনেক আগে আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা পেয়ে বাড়ি শুরু করেছিলেন। কিন্তু অর্থসঙ্কটে তিনি ছাদ ঢালাই করতে পারছিলেন না। গ্রামের একটি সূত্র থেকে সুদের কারবারি কৃষ্ণেন্দুর কথা জানতে পারেন। ফটিক জানান, গত বৈশাখ মাসে প্রথম দফায় কৃষ্ণেন্দুর থেকে চার দফায় মোট ৭৫ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। কাঠা দশেক জমির মধ্যে কিছু বিক্রি করে এক মাসের মধ্যেই দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু জমি বিক্রি না হওয়ায় টাকা বা সুদ কিছুই দিতে পারছিলেন না। তার জেরে গত আষাঢ় মাসের গোড়ায় কৃষ্ণেন্দু একদফা ফটিকের বাড়ির পাখা, চেয়ার-টেবিল, পরিবারের লোকদের আধার কার্ড ইত্যাদি নথিপত্র নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

ফটিকের কথায়, “সুদ না দিতে পারলেও ঋণের ৭৫ হাজার টাকা তাঁকে দেব বলেছিলাম। কিন্তু এ দিন সেটা ছাড়াও প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা সুদের দাবিতে মারধর করছিল। স্ত্রী বাধা দিতে এলে তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলির হুমকি দেয় কৃষ্ণেদু। তখনই ছেলে তার বন্দুক কাড়তে গেলেগুলি চালায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement