অঘটন: দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। রবিবার, চামরাইলের জয়পুরে। নিজস্ব চিত্র।
তীব্র গতিতে ছুটছিল বাসটি। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, একটি ডাম্পারকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সেই সরকারি বাস। ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল বাসের এক যাত্রীর। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাসে সওয়ার ২৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায়, দু’নম্বর জাতীয় সড়কের চামরাইলের জয়পুরের কাছে।
আহতদের ১০ জনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। বাকি ১৫ জনকে হাওড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সরকারি বাসটির কন্ডাক্টরও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত সরকারি বাসটি আরামবাগ-ধর্মতলা রুটের। এ দিন সেটি যখন কলকাতার দিকে আসছিল, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন বাসটি দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডানকুনির দিকে আসছিল। চামরাইলের জয়পুরের কাছে একটি ডাম্পারকে তীব্র গতিতে ওভারটেক করতে যায় সেটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাম্পারটিকে বাঁ দিক দিয়ে ওভারটেক করতে চেয়েছিল বাসটি। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তার। ডাম্পারটি ঘষে যাওয়ায় বাসের ডান দিকে বসে এবং দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরাই গুরুতর জখম হয়েছেন।
এ দিকে, দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যান বাসচালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লিলুয়া থানার পুলিশ। তারাই বাসের আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে মফিজুল হাজারি (৩০) নামে খানাকুলের বাসিন্দা এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই যুবকের পরিবারে রাতেই খবর পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের আহত এক যাত্রী রিয়া পতি এ দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বলেন, “আরামবাগ থেকে বাসে উঠেছিলাম। চামরাইলের কাছে পৌঁছনোর পরে আচমকা একটা বিকট আওয়াজ। মুহূর্তে সব অন্ধকার হয়ে গেল। মাথায়, মুখে প্রচণ্ড লেগেছে। আর কিছু বলতে পারব না।”
দুর্ঘটনার পরই বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। অনিয়ন্ত্রিত গতির পিছনে বাসের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সে সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বাসচালকের খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ।