আজানগাছি টাকিপাড়ায় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো। —নিজস্ব চিত্র।
মুণ্ডেশ্বরীর জলের তোড়ে এ বার বাঁশের সাঁকো ভাঙল হাওড়ার আমতার ‘দ্বীপাঞ্চল’ ভাটোরার আজানগাছি টাকিপাড়ায়। পুজোর মুখে বিপাকে পড়লেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ভাটোরার সঙ্গে জেলার মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
গত বৃহস্পতিবার মুণ্ডেশ্বরীর জলের চাপে ভেঙে পড়েছিল হুগলির খানাকুলের দু’টি ব্লকের দু’টি বাঁশের সাঁকো। ফলে, দু’টি ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাহত হয়। শনিবার রাতে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় আজানগাছি টাকিপাড়ার সাঁকোটি ভাঙে।
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে দাবি প্রশাসনের। দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ মেহবুব আলি বলেন, ‘‘সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার দ্বীপাঞ্চলের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন, ঠিক কথা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের পারাপারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নৌকার ব্যবস্থা
করা হয়েছে।’’
মাসদশেক আগেও মুণ্ডেশ্বরীর জলের তোড়ে এই দ্বীপাঞ্চলের যে তিনটি সাঁকো ভেঙেছিল, তার মধ্যে ছিল আজানগাছির সাঁকোটিও। ফের তা নির্মাণ করা হয়েছিল। ফের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় গ্রামবাসীদের এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। কিন্তু নদীতে প্রবল স্রোতের মধ্যে নৌকায় যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
ভাটোরার কুলিয়ায় মু্ণ্ডেশ্বরীতে পাকা সেতু তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু সেই কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহবুবের দাবি, ‘‘পাকা সেতু তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। বর্ষায় নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। জল কমলেই কাজে গতি বাড়বে। যত শীঘ্র সম্ভব পাকা সেতুর কাজ শেষ করা হবে।’’