অভিযোগ, বৃদ্ধাকে টেনেহিঁচড়ে একটি স্কুলের মাঠে টেনে নিয়ে যান তৃণমূল নেতার ছেলে। —প্রতীকী চিত্র।
৬৬ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নেত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বৃদ্ধার পরিবার। তার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ অভিযুক্ত। হুগলির তারকেশ্বরের ঘটনা। অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসায় শাসক শিবির যেমন অস্বস্তিতে পড়েছে, তেমনই কটাক্ষ করছে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বাবলু পোদ্দার। তারকেশ্বর পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মী তিনি। তাঁর মা তারকেশ্বর পুরসভা এলাকার তৃণমূল নেত্রী। গত ২২ জানুয়ারি ভোরে বাজারে সব্জি বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময় বাবলু ওই বৃদ্ধাকে টেনেহিঁচড়ে একটি স্কুলের মাঠে টেনে নিয়ে যান এবং তার পর তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, বৃদ্ধা বাধা দিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যান। পরে আক্রান্তকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। দু’দিন ওই ঘটনা চাপা থাকলেও পরে তার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই বৃদ্ধার মেয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের মা তথা তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘৩ দিন আগে বাড়িতে বেশ কয়েক জন এসেছিলেন। তাদের মুখ থেকে এই অভিযোগের কথা শুনি। এর পর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে ও যদি অপরাধ করে থাকে তবে শাস্তি চাই।’’
অন্য দিকে, এই অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সদস্য গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। তাই তাঁর সাত খুন মাফ। এটা অত্যন্ত লজ্জ্বার যে, পশ্চিমবঙ্গে ৬৬ বছরের বৃদ্ধাও সুরক্ষিত নন।’’ তবে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তারকেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রমেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে অভিযুক্ত তৃণমূলের কেউ নন। তিনি পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। তৃণমূল অপরাধে প্রশ্রয় দেয় না। যদি ওই যুবক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁর শাস্তি হবে। পুলিশকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’’