প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহেই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক দিনে তিন জনের শরীরে ডেঙ্গির অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এর মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে।
কোন্নগরের বাসাই গ্রাম, কানাইপুর কলোনি, এবং ন’পাড়ায় মূলত ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। পুজোর আগে আগে এই ঘটনায় চিন্তায় উত্তরপারা এবং শ্রীরামপুর ব্লক প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর থেকে বৃহস্পতিবার কানাইপুরে পরিদর্শনে যান আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ ঘোষ, উত্তরপাড়া-শ্রীরামপুর ব্লকের বিডিও দীপাঞ্জন সরকার এবং কানাইপুর বিএমওএইচ এস পট্টনায়েক। ডেঙ্গির মশা এবং লার্ভা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন তাঁরা। জ্বর হলেই সেখানকার বাসিন্দারা যাতে রক্ত পরীক্ষা করেন তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেছেন, ‘‘রক্ত পরীক্ষায় তিন জনের দেহে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। পঞ্চায়েত এ বিষয়ে তৎপর হয়েছে।’’ বর্ষার জমা জলে যাতে মশা জন্মাতে না পারে তার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও বেশি লোককে লাগিয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের অবহেলার দিকে আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএম-এর বিপ্লব বসু বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার প্রকল্প রূপায়ণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চায়েতের সদস্যরা। বর্ষায় আশপাশ পরিষ্কার রাখা, নজরদারি চালানোর মতো পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।’’ জমা জল দ্রুত নিষ্কাশন না করলে ডেঙ্গি বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।