ডোমজুড় ব্লক অফিসের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ। নিজস্ব চিত্র।
‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’-এর মাধ্যমে অনলাইনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার জন্য নিখরচায় আবেদন করা যায়। ওই পরিষেবা পাওয়ার জন্য শুক্রবার ২৭ জন সংখ্যালঘু ছাত্রীকে নিয়ে কমর্শালা হল ডোমজুড় ব্লক অফিসে। প্রতীচী ট্রাস্টের গবেষক সাবির আহমেদ এবং ব্লক প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মসূচি হয়। ব্লক অফিস চত্বরেই থাকা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
ওই ছাত্রীরা হাওড়ার গড়ফায় ২০১৬ সালে সাবিরের উদ্যোগে গড়ে ওঠা একটি কলেজের ছাত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ যে সব ছাত্রী মূলত পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে প্রথাগত উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন না, তাঁরা এই কলেজে পড়েন। এখানে তাঁদের বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়া হয়। বিভিন্ন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি করানোরও ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩০০ ছাত্রী এখানে ন্যূনতম খরচে পড়াশোনা করেন।
সাবির জানান, ছাত্রীদের জন্য নানা ধরনের সরকারি ভাতা, বৃত্তি, শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা আছে। অনেক ছাত্রীকে সাইবার কাফেতে গিয়ে টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এতে অসাধু লোকজন ওই কাফে থেকে ছাত্রীদের তথ্য ও ছবি জোগাড় করে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্যই আমাদের ছাত্রীদের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু ছাত্রীদের কারও কারও বাইরে বেরোনোর ব্যাপারে জড়তা থাকে। তারা অন্য কারও মাধ্যমে ওই সব কাজ করিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এই প্রশিক্ষণ তাদের সেই জড়তা কাটাবে।’’
বিডিও গার্গী দাস ওই ছাত্রীদের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের উপযোগিতা বুঝিয়ে দেন। কেন্দ্রের কর্মীরা দেখিয়ে দেন কী ভাবে এখানে পরিষেবা মেলে। পরে বিডিও বলেন, "রাজ্য সরকারের ২৮২টি বিষয়ে এখানে আবেদন করা যাবে। তথ্যও পাওয়া যাবে। ‘কন্যাশ্রী’, ‘ঐক্যশ্রী’র মতো প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কোনও টাকা লাগবে না।’’
ওই কলেজের শিক্ষিকা রেশমা খাতুনের নেতৃত্বেই এ দিন ছাত্রীরা এসেছিলেন। রেশমা বলেন, "ছাত্রীদের অনেক উপকার হয়েছে এখানে এসে। অনেকেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কথা জানতই না। সবাই জেনে গেল।’’