শুধু গাছ নয়, রকমারি টবেও সাজানো যায় বারান্দা থেকে ঘর। ছবি: ফ্রিপিক।
বারান্দাই হোক বা ছাদ বাগান, বড় ডালিয়া থেকে চন্দ্রমল্লিকা, রঙিন পিটুনিয়া, রকমারি গোলাপ বদলে দিতে পারে বাড়ির সৌন্দর্য। তবে শুধু ফুল বা বাহারি গাছ নয়, বারান্দাই সাজান বা সবুজের ছোঁয়ায় ঘর, রকমারি টবের ব্যবহার তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে। চিরপরিচিত মাটির টবের বদলে বিভিন্ন শৌখিন টব বেছে নিতে পারেন অন্দরে বা বাইরের বাগানের জন্য। জেনে নিন, কোন কোন টব রাখতে পারেন তালিকায়।
আঁকা টব: রং-তুলিতে টান দেওয়ার শখ থাকলে মাটির টবে সাদা চুনকাম করে তা শুকিয়ে ক্যানভাস তৈরি করে নিতে পারেন। তুলির ছোঁয়ায় রঙের কারসাজিতে ইচ্ছেমতো ফুটিয়ে তুলতে পারেন নকশা। তবে এমন টব কিন্তু কিনতেও পাওয়া যায়। টেবিলের উপরে বা ঘরের কোনায় গাছ রাখবেন, এমন আঁকাজোকা করা টব দিব্যি মানাবে।
ডেকুপাজ় টব: ডেকুপাজ় হল এক ধরনের সৃজনাত্মক পদ্ধতি বা শিল্প, যার সাহায্যে টব সাজিয়ে নিতে পারেন। কোনও কফি কাপ বা বোতল বা সেরামিকের টব স্পঞ্জের সাহায্যে পছন্দ মতো রং করে নিন। তার উপর বিভিন্ন কাগজের নকশা কেটে সুন্দর করে আঠার সাহায্যে লাগিয়ে নিন।
দড়ি দিয়ে সজ্জা: মাটির টব হোক বা সেরামিকের, তার উপর পাটের দড়ি দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়। জুটের টবও বেশ ট্রেন্ডি। দড়ির ছোট-বড় টব হয়। স্ট্যান্ডের উপরে সেগুলি রাখা যায় আবার ঝোলানোও যায়। সুদৃশ্য, শৌখিন টবে একগুচ্ছ ফুল ফুটলে বদলে যাবে বাড়ির রূপ।
দড়ি এবং জুট দিয়েই রকমারি টব হয়। ছবি: ফ্রিপিক।
মোজাইক টব: মোজাইকের মতো নকশার টবের কিন্তু এখন চল রয়েছে। ছোট, বড়, মাঝারি বিভিন্ন মাপের মোজাইক টব কিনতে পাওয়া যায়। এগুলি বেশ রংচঙে। এই ধরনের টবে শুধু ফুলগাছ নয়, সাকুলেন্ট বা রকমারি ক্যাকটাস দেখতেও ভাল লাগবে।
চকবোর্ড টব: এই ধরনের টবের বাইরেটা ব্ল্যাকবোর্ডের মতো হয়। তাতে চক দিয়ে গাছের নাম বা পছন্দের কোনও শব্দ-বাক্য লিখে রাখা যায়।