Balagarh

রং লাগিয়ে খাঁচায় ভরে নিয়ে এসেছিলেন মুনিয়া, বন দফতরে খবর যেতেই পালিয়ে যান বিক্রেতা

বলাগড়ের ধোবাপারা পঞ্চায়েতের কুলিয়াপারা বাজারে সপ্তাহে তিন দিন হাট বসে। স্থানীয় কৃষকেরা এসে ফসল বিক্রি করেন। শুক্রবার সেখানে খাঁচা-বন্দি মুনিয়া, টিয়া, চন্দনা বিক্রি করতে আসেন এক জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:১৮
Share:

রং মাখানো মুনিয়া পাখি। নিজস্ব চিত্র।

হাটে বিক্রি করতে এসেছিলেন মুনিয়া পাখি। যাতে ধরা না পড়েন, তাই সেগুলির উপর রং করে রেখেছিলেন বিক্রেতা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেলেন তিনি। উদ্ধার হল মুনিয়া, চন্দনা-সহ ১৫টি দামি পাখি। এই ঘটনা হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়ার।

Advertisement

বলাগড়ের ধোবাপারা পঞ্চায়েতের কুলিয়াপারা বাজারে সপ্তাহে তিন দিন হাট বসে। স্থানীয় কৃষকেরা এসে ফসল বিক্রি করেন। আজ, শুক্রবার সেখানে খাঁচা-বন্দি মুনিয়া, টিয়া, চন্দনা নিয়ে বিক্রি করতে আসেন এক জন। সেগুলির গায়ে লাগানো ছিল রঙের পোচ, যাতে চট করে পুলিশ বা প্রশাসন কেউ বুঝতে না পারে।

কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। নজরে পড়ে যায় সমরেশ মল্লিক নামের এক ব্যক্তির। সমরেশ পেশায় ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফার। নানা ধরনের পাখির ছবি তোলাই তাঁর শখ। পাখিগুলিকে কাছ থেকে দেখে সমরেশ চিনতে পারেন যে, সেগুলি আসলে মুনিয়া। র‌ং করা হয়েছে। মুনিয়া সাধারণত লাল-সাদা হয়। সেই সাদা রংকে রাসায়নিক দিয়ে কমলা বা সবুজ করা হয়।

Advertisement

এর পরেই পাখি বিক্রেতাকে চেপে ধরেন সমরেশ। তিনি জানান, পূর্ব বর্ধমানে তাঁর বাড়ি। সাতগাছিয়ার হাট থেকে পাখিগুলি কিনেছিলেন। ভেবেছিলেন বিক্রি করে কিছু টাকা পাবেন। হাটে পাখি বিক্রেতাকে ঘিরে ততক্ষণে ভিড় জমে যায়। বন দফতরে খবর দেন সমরেশ। চুঁচুড়া থেকে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পাখি উদ্ধার করেন। তত ক্ষণে পালিয়ে গিয়েছেন পাখি বিক্রেতা।

বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, টিয়া, ময়না, চন্দনা পাখি বিক্রি বেআইনি। লাগাতার প্রচার করে মানুষকে বোঝানো সত্ত্বেও লুকিয়ে চলছে পাখি বেচাকেনা। কর্মীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া পাখিগুলিকে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement