রাস্তার উপর বাঁশ ফেলে অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় তিন মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল শনিবার রাতে। তার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও ধরা পড়েনি ঘাতক গাড়িটি। সেই গাড়িটিকে ধরার দাবিতে সোমবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কিছু ক্ষণ চলে অবরোধ। পরে পুলিশি আশ্বাসে তা উঠে যায়। এই ঘটনা হাওড়ার শ্যামপুরের।
গত শনিবার গভীর রাতে শ্যামপুরের কোলিয়া মোড়ের কাছে কালীপুজো দেখে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন বাইক আরোহীর। মৃতদের নাম শান্তনু হাতি (১৮), বিজয় হাতি (১৯) এবং কুন্তল দাস (১৮)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তাঁরা শ্যামপুরের ধ্বজা থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ২টো নাগাদ কালিয়ামোড়ের কাছে ওই মোটরবাইকের পিছনে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন তিন জন। ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তিন জনের কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। সেই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার সকালে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বালিন্দারা। তাঁরা যে গাড়িটি ওই তিন যুবকের বাইকে ধাক্কা মেরেছিল, সেটা আটক করার দাবিতে পথ অবরোধ করেন। রাস্তার উপর বাঁশ ফেলেন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তার জেরে আটকে যায় যান চলাচল।
সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যস্ত রাস্তায় অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুর থানার পুলিশ এবং গড়চুমুক আউট পোস্টের পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। তবে অবরোধের জেরে হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা।