Sabina Yasmin

বিক্ষোভ দেখাতে তৈরি তৃণমূল কর্মীরা, হেনস্থা এড়াতে নতুন পথ নিলেন ‘দিদির দূত’ মন্ত্রী সাবিনা

প্রায়ই তৃণমূলের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে দলের নেতা, মন্ত্রীদের। কিন্তু মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নতুন পথ নিলেন। তবে তাতেও সাধারণের ক্ষোভ কমল কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ২০:২৬
Share:

নতুন পথে সাবিনা। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘিরে ক্ষোভ বিক্ষোভের খবর প্রায় প্রতি দিনই পাওয়া যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ককেই তার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু সোমবার মালদহে দেখা গেল অন্য ছবি। বিক্ষোভ দেখাতে জমায়েত হয়েছে বুঝে আগেভাগেই পথ বদলে নেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। যে পথে গেলে বিক্ষোভের মুখ পড়তে হতে পারে, সে পথ মাড়ালেনই না। ধরলেন অন্য পথ। তবে তাতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ কমেনি। উল্টে বেড়েছে।

Advertisement

মন্ত্রী আসবেন আগে থেকেই জানা ছিল। তাই মালদহের কালিয়াচক থানার সিলামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রুস্তম আলি টোলার কাছে বিক্ষুব্ধেরা দল বেঁধে দা়ঁড়িয়ে ছিলেন। মিটার ৫০ দূর থেকেই সেটা বুঝতে পারেন সাবিনা। তা দেখেই পথ বদলান। হতাশ হতে হয় বিক্ষুব্ধদের।

সকাল থেকেই সিলামপুর এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি ছিল তৃণমূল কর্মীদের। তবে রুস্তম আলি টোলা এলাকায় ছিল উল্টো প্রস্তুতি। এক দল তৃণমূল কর্মী মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব, অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গোলাম আলি, সামদানি হক, ইব্রাহিম আলিরা। এলাকার অনুন্নয়নের অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতিও ছিল। স্লোগান দেওয়াও শুরু হয়ে যায়। এলাকার শ’খানেক মানুষও ছিলেন সেখানে। সকলে মিলে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘‘জল নেই, ভোট নেই।’’

Advertisement

এলাকার মানুষের দাবি, পুলিশই নাকি মন্ত্রীকে আগাম বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দেয়। আর তাতেই হেনস্থা হওয়ার পরিবেশ এড়াতে, ওই এলাকামুখো হননি সাবিনা। তৃণমূল কর্মী গোলাম জানান, বহু বার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের দাবি করেছিলেন তাঁরা। শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। ভোটের জন্য ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে মন্ত্রী আসছেন শুনে বিশুদ্ধ জলের দাবি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন। গোলাম খেদের সঙ্গে বলেন, ‘‘অভিযোগ জানাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না।’’ অন্য এক তৃণমূল কর্মী ইব্রাহিম বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর তৃণমূল সিলামপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও কাজ করেনি। এ নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষুদ্ধ। মন্ত্রী আসবেন শুনে সেই ক্ষোভ দেখাতেই এলাকাবাসীরা জড়ো হয়েছিলেন।’’

পথ বদলানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ‘দিদির দূত’ সাবিনা অবশ্য অন্য কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই পথ দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাই ছিল না। আর যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা তৃণমূলের নন, কংগ্রেস কর্মী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাংলার উন্নয়নে কোনও খামতি রাখেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরও গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে আলো, পানীয় জলের বন্দোবস্ত, সেচের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার। ফলে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ধোপে টিকবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement