খোলা কলের সংখ্যা কত? সমীক্ষা করে জানবেন কলকাতা পুরসভা। ফাইল ছবি।
গ্রীষ্মকালের কয়েক মাস শহর কলকাতায় পানীয় জলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। যা যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় কলকাতা পুরসভাকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার অনেক আগে থেকেই পদক্ষেপ করতে চলেছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করতে অবশেষে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাস্তার ধারে কোথায়, কতগুলি এমন ট্যাপ রয়েছে, তার মধ্যে কতগুলির মুখ নেই, তা সমীক্ষা করে দেখা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মেরামতের কাজে হাত দেবে পুরসভা। মাঝে পুজোর ছুটি থাকায় সেই কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। এ বার সেই সমীক্ষার কাজ শেষ করে পদক্ষেপ করা হবে বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। তবে তার আগের সমীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনের কাছে। তিনি সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে।
পুরসভার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেখানে পানীয় কলের মুখ থাকবে না, সেখানে নতুন মুখ লাগাতে হবে। কলের এই মুখ যাতে ভেঙে না যায় বা চুরি না হয় , তা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করতে হবে। এ বিষয়ে জল সরবরাহ বিভাগকে যাবতীয় পরিকল্পনা নিতে হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও জায়গা থেকে কলের মুখ ভেঙে ফেলার অভিযোগ তিন বারের বেশি এলে, সেই কলে জলের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, যে সব জায়গায় কলের মুখ ভাঙা বা চুরির অভিযোগ বেশি, সেই সব এলাকায় মেয়রের বার্তার প্রচারপত্র বিলি করে জনসেচতনতামূলক প্রচার করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। এক পুর আধিকারিকের কথায়, এ বারের গরমে যাতে শহরের মানুষকে জলকষ্টের মুখোমুখি হতে না হয়, সে বিষয়ে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুরসভা। তাই শীতের মরসুমের শুরুতেই সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।