—ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত। রবিবার শেষ হল সেই সময়সীমা। কিন্তু প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত কতদূর এগোল? তদন্ত কি শেষ হল? অনেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে তা স্পষ্টই হল না। এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ ইডিও। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, তদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বাইরে কিছু বলা যাবে না। তদন্তের অগ্রগতির সম্পর্কে আদালতকেই জানানো হবে। অর্থাৎ, বছরের শেষ দিনে প্রাথমিক মামলায় ইডির তদন্ত শেষ হল কি না সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এজলাস পরিবর্তন হয়ে মামলাটি যায় বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে। ওই বেঞ্চ তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিবরণ জানতে চান বিচারপতি সিংহ। ওই মামলায় অভিষেক সম্পত্তি নিয়ে তাঁর ক্ষোভের মুখে পড়েন ইডির আধিকারিক মিথিলেশকুমার মিশ্র। বিচারপতি সিংহ তদন্ত থেকে তাঁকে সরিয়েও দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ১০ বছর আগের পুরনো নথি চেয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। এই মামলায় 'নজরদারি'র পরিবর্তে 'তদারকি' করছেন বিচারপতি সিংহ।
ওই মামলায় গত অক্টোবরে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে ইডি যে তথ্য এবং নথি চেয়েছে তা উপেক্ষা করা যায় না। তাই অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য তথ্য এবং নথি দিতেই হবে। নইলে তার প্রভাব সাঙ্ঘাতিক হতে পারে। তবে তথ্য খতিয়ে না দেখে অভিষেককে তলব করা যাবে না। কোর্টের নির্দেশ ছিল, অভিষেক আগে নথি দেবেন। প্রথমে তা খতিয়ে দেখতে হবে ইডিকে। তার পরেই তৃণমূল সাংসদকে সমন পাঠাতে পারবে তারা। এ ছাড়া এই মামলায় বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ রাখে ডিভিশন বেঞ্চ ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১৯ মাস ধরে এই তদন্ত চলছে। তদন্ত বেশি বিলম্বিত হওয়া উচিত নয়। তদন্ত ঢিমে তালে চললে তা কারও জন্য সুখকর হবে না। তাই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইডিকে এই তদন্ত শেষ করতে হবে। রবিবার শেষ হচ্ছে ওই সময়সীমা।