Kidnap

বাগুইআটির দুই স্কুল ছাত্রের হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর বাড়িতে ঢুকে স্থানীয়দের ভাঙচুর

এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের নাম শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। যদিও মূল চক্রী সত্যেন্দ্র এবং আর এক জন ফেরার। তাঁদের খোঁজ চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১৪
Share:

অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর বাড়িতে ভাঙচুর স্থানীয়দের।

বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল দুই পড়ুয়া। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। অভিযোগ, অপহরণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁদের। অভিযোগের আঙুল যে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর দিকে, সোমবার তাঁর বাগুইআটির বাড়িতে ভাঙচুর করলেন স্থানীয়রা।

Advertisement

এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নাম শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। যদিও মূলচক্রী সত্যেন এবং আর এক জন ফেরার। তদন্তের স্বার্থে পঞ্চম জনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে। ওই দুই ছাত্রের খুন হওয়ার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা সত্যেন্দ্র বাড়িতে চড়াও হয়। ভাঙচুর চালানো হয় গোটা বাড়িতে। বিভিন্ন ঘরে ঢুকে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙা হয়। রান্নাঘরেও ভাঙচুর চলে।

২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল দুই কিশোর অভিষেক নস্কর (১৬), অতনু দে (১৫)। দু’জনেই হিন্দু মহাবিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। থাকে বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডে। নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পরিবারের আরও দাবি, প্রথমে এক লাখ ও পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাদের কাছে।

Advertisement

২২ অগস্টই সন্ধ্যায় ন্যাজাট থানা এলাকায় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। অন্য জনের দেহ পরের দিন, ২৩ অগস্ট মেলে মিনাখাঁ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ২২ অগস্ট ওই দুই কিশোরকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যান সত্যেন্দ্র। এর পর তাঁরা রাজারহাটে এক মোটরবাইকের দোকানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে চলে যান তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে গাড়ির ভিতরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছিল দুই ছাত্রকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement