মন্দারমণি। —ফাইল চিত্র।
দশমীর দিন ছুটি কাটাতে সপরিবার মন্দারমণি এসেছিলেন একদল পর্যটক। উঠেছিলেন একটি নামী সংস্থার হোটেলে। সেখানেই ঘটল বিপত্তি। হোটেলের ঘর থেকে চুরি গিয়েছে টাকাপয়সা! রাতে হোটেল থেকেও উধাও পর্যটকদের গাড়িও। সেই ঘটনার পর হোটেলে শোরগোল পড়তেই দেখা গেল, ভোরের দিকে হোটেলেরই এক কর্মী সেই গাড়ি নিয়ে হোটেলে ঢুকছেন। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় পর্যটকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলের সেই কর্মীকে আটক করেছে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ।
পর্যটকদের ওই দল জানিয়েছে, শনিবার বেলার দিকে মন্দারমণির ওই হোটেলে ঘর নিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর ওই দিনই সন্ধ্যায় এক পর্যটক দেখেন, হোটেলের এক কর্মী ‘মাস্টার কি’ নিয়ে তাঁর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। যদিও শেষমেশ পর্যন্ত তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তখনকার মতো সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন ওই পর্যটক। পরে একে একে একাধিক পর্যটক অভিযোগ করেন, তাঁদের ঘর থেকে টাকাপয়সা চুরি গিয়েছে। তাঁরা টাকার হিসাব পাচ্ছেন না। এরই মাঝে গভীর রাতে এক পর্যটক দেখেন, হোটেলের সামনেই রাখা তাঁর প্রাইভেট গাড়িটি নেই। ঘরে গিয়ে দেখেন গাড়ির চাবিটিও নেই। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে ভোরের দিকে দেখা যায়, হোটেলেরই এক কর্মী গাড়িটি হোটেলে সামনে পার্ক করছেন। এই ঘটনার পর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই পর্যটকেরা।
থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক হোটেলকর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে থানায়। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ এক পর্যটক বলেন, ‘‘মন্দারমণি বেড়াতে এসে এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। এই ধরনের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে হোটেলগুলির আরও সতর্কতা অবলম্বর করা জরুরি।’’
হোটেল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, ওই কর্মী যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। গভীর রাতে ওই কর্মী পর্যটকের গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। ভোরের দিকে গাড়ি নিয়ে হোটেলে ঢোকার পরেই অন্য কর্মীরা তাঁকে পাকড়াও করেন। এর পর পর্যটকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।