প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশীর হাত ধরে কলকাতা হোটেলের কাজ করতে এসেছিলে কালিম্পঙেরর মংপুর এক যুবতী। লকডাউনে হোটেল মালিকের কথায় কাঁথিতে এসে মালিকের বাড়িতে থাকছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তিনি মালিকেরা হাতে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। শেষে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করল। গ্রেফতার করল অভিযুক্তকে।
কয়েকদিন কলকাতার চিনার পার্ক এলাকার একটি হোটেলে কাজ করতেন ওই যুবতী। হোটেলের মালিক জাহির আব্বাস মল্লিক কাঁথি শহরের বাসিন্দা। লকডাউন বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর তিনি ওই যুবতীকে কাঁথি শহরের জালালখানবাড়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন জাহির। সেখানেই ওই যুবতীকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবতী অছিলায় বাড়ির বাইরে এসে অন্যের ফোন থেকে কালিম্পঙের এক আত্মীয়কে বিষয়টি জানান। এর পরে তাঁদের উদ্যোগে বিষয়টি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ জানতে পারে। সেই মত রবিবার অভিযুক্ত হোটেল মালিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কাঁথি থানার পুলিশ। সেখানে হোটেল কর্মী ওই যুবতীকে উদ্ধার করে তারা এবং অভিযুক্ত জাহিকের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
রবিবারই ওই যুবতীর কাছ থেকে গোপন জবানবন্দি নেয় কাঁথি মহকুমা আদালত। তারপর তাঁকে মংপুতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, অভিযুক্ত হোটেল মালিকের জামিন খারিজ করে দিয়ে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। এ ব্যাপারে কাঁথর এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিশেষ সূত্রের খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত হোটেল মালিকের জেল হেফাজত হয়েছে।’’