কল্যাণীর সভায় পার্থ। নিজস্ব চিত্র
দলের ছাত্র সংগঠনের দাদাগিরিতে ক্রমাগত মুখ পোড়ায় ক্ষমতায় পিরেই তাই রাশ টানার চেষ্টা করেছিলেন দলনেত্রী।
তবে, সে ডাকে যে সাড়া তেমন মেলেনি তা বোঝা গিয়েছিলকখনও নদিয়া কিংবা মেদিনীপুরে টিএমসিপি-র দাপাদাপি উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বার তাই জেলায় পাঠানো শুরু হয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের। শনিবার নদিয়ায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সে কথাই ফের আওড়ে এলেন তাই।
এ দিন নদিয়ায় দলের বর্ধিত সাংগঠনিক সভায় দলের ছাত্র নেতাদের হুঁশিয়ারি শুনিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পার্থ। সভায় জেলার সকল পদাধীকারিরাই ছিলেন। পার্থবাবু বলেন, ‘‘এখন তো শুনছি ইট-বালি-চুন ব্যবসায়ীরাও কলেজে ঢুকে পড়ছে। এ সব বন্ধ করতে হবে। যাঁরা যে কলেজের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদেরই তা বন্ধ করতে হবে।’’
দিন কয়েক আগে শান্তিপুর কলেজে আগ্নেয়াস্ত্র কাণ্ডে এক মুরগি মাংস বিক্রেতার নাম জড়িয়েছিল। এ দিন সে কথা মাথায় রেখেই যে মন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা, তা কবুল করেছেন জেলা নেতারা। তিনি বলেন, ‘‘হার-জিত বড় কথা নয়। সংগঠনের দিকে যাতে আঙুল না ওঠে, তা দেখতে হবে। ২০১১ সালে আমরা যখন ১৮৫টা আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসি, তখন মাত্র ৪০টা কলেজে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। তাতে তো ক্ষতি কিছু হয়নি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তা হলে এখন অকারণে ঝামেলা করা হবে কেন?’’
শিক্ষাঙ্গনে ছাড়াও নদিয়ার দু’বারের বিধায়ক হরিণঘাটার নীলিমা নাগ এবং চাকদহের রত্না ঘোষের দ্বন্দ্বও জেলা নেতাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ দিন সে ব্যাপারেও পার্থ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জনের ঝামেলা মেটাতে হবে। তার জন্য তিনি জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত এবং শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান অজয় দে কে তার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তাতেও ঝামেলা না মিটলে আমি দেখব। আর আমাকে দেখতে হলে, ফল যা হওয়ার তাই হবে।’’
এ দিন মদন মিত্রের জামিন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখন তো খুনিরাও তিন মাস পরে জামিন পেয়ে যায়। আর মদনকে অপেক্ষা করতে হল একুশ মাস!’’