Durga Puja 2019

এক সন্ধ্যায় দেখা হল দু’জনায়, মাঝরাতে বিয়ে, অষ্টমীর প্যান্ডেলই ছাদনাতলা

প্রথম দেখাতেই ‘কাত’ দু’জনেই। সুদীপের দাবি, তিনিই বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর তাতে উৎসাহ জোগান দু’পক্ষের বন্ধুদল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৩৪
Share:

পুজো প্যান্ডেলে সুদীপ ও প্রীতমা। —নিজস্ব চিত্র

প্রথম দেখা পুজো মণ্ডপে। তার আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমীর রাতে দুর্গা প্রতিমাকে সাক্ষী রেখে মালাবদল করলেন যুগল।

Advertisement

আপাত ভাবে অবিশ্বাস্য লাগলেও, গত রবিবার অষ্টমীর সন্ধ্যায় এ ভাবেই বিয়ে সারলেন হুগলির হিন্দ মোটরের যুবক সুদীপ ঘোষাল এবং শেওড়াফুলির প্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কমন’ বন্ধুদের মাধ্যমে। প্রথম পরিচয় এ বছর জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে, এখনও মনে করতে পারেন সুদীপ। এর পর মেসেঞ্জারে কথা বার্তা, আলাপচারিতা। সেখান থেকেই মোবাইল নম্বরের আদানপ্রদান। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ। কখনও বা ফোনে কথা। কিন্তু সেই জুলাই থেকে অক্টোবরের ৬ তারিখের আগে কেউ কখনও মুখোমুখি হননি একে অপরের।

Advertisement

গত রবিবারের কথা তুলতেই হেসে ফেলেন সুদীপ। বছর ৩৩-এর সুদীপ একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, অষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলেন। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় যাওয়ার পথে কিছু না ভেবেই তিনি ফোন করেছিলেন প্রীতমাকে। তখনই জানতে পারেন যে, প্রীতমাও বন্ধুদের সঙ্গে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারেই রয়েছেন। তখনই তাঁরা ঠিক করেন, পুজো মণ্ডপের কাছেই দেখা করবেন, প্রথম বার।

পরের গল্প বলিউড ছায়াছবিকেও হার মানায়। প্রথম দেখাতেই ‘কাত’ দু’জনেই। সুদীপের দাবি, তিনিই বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর তাতে উৎসাহ জোগান দু’পক্ষের বন্ধুদল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে মোটরবাইকে সোজা হিন্দ মোটর। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যুগল হাজির পাড়ার মণ্ডপে।

বিয়ের আগে প্রতিমার সামনে সুদীপ-প্রীতমা। —নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: ভাড়া লক্ষাধিক, যাত্রী মাত্র ৪ জন! বিলাসবহুল করবা চৌথ স্পেশাল ট্রেন বাতিল করল রেল

আরও পড়ুন: বিদেশে অসুস্থ বাবুল, ছুটতে হল ক্যালিফোর্নিয়ার হাসপাতালে, আঙুল যাদবপুর-কাণ্ডের দিকে

সেখানেই দুর্গা প্রতিমাকে সাক্ষী রেখে মালাবদল। তার পর সেখান থেকে প্রীতমাকে সোজা নিয়ে ওঠেন নিজের বাড়িতে। সুদীপের বাড়ির লোকজন অবাক হলেও, বাবা-মা আদর করে বরণ করে নিয়েছেন প্রীতমাকে। স্নাতক হওয়ার পর বাড়ির কাছেই একটি বুটিক চালান প্রীতমা। এখনও নিজের বাড়িতে যাননি। বিয়ের খবর পৌঁছেছে শেওড়াফুলির বাড়িতে। বিয়ে-খাওয়াদাওয়া, হুল্লোড়ের মধ্যে একটাই চিন্তা তাঁর—বাড়িতে বিয়েটা মানবে তো! তবে সে সব নিয়ে আদৌ মাথা ঘামাতে রাজি নন সুদীপ। তাঁর দাবি, ‘‘মা দুর্গা সহায়। ঠিক একটা সুরাহা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement