আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
এগরাকাণ্ডের পর বেআইনি বাজি উদ্ধার করতে তৎপর পুলিশ। বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির চণ্ডীতলা, সিঙ্গুর, ধনিয়াখালি, খানাকুল, হরিপাল-সহ একাধিক জায়গায় বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে হুগলির ওই সব এলাকায় তল্লাশি চালায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। বুধবার রাতে বেগমপুরের খরসরাই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। উদ্ধার হয়েছে বাজি তৈরির মশলাও। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১১ জনকে। এর মধ্যে চণ্ডীতলা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। তল্লাশি হয়েছে মোট ন’টি থানা এলাকায়। সব মিলিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ বলেন, ‘‘ন’টি থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৭৮৩ কিলোগ্রাম বাজি আটক করা হয়েছে। বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া মোট ৭৮৩ কিলোগ্রাম বাজির মধ্যে চণ্ডীতলার বেগমপুর থেকে পাওয়া গিয়েছে ৬০০ কিলোগ্রাম বাজি। পাশাপাশি, পাওয়া গিয়েছে ৮০ কিলোগ্রাম বাজি তৈরির মশলাও। বীরভূমের নলহাটিতেও অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে নলহাটি থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতেও বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।