হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শিল্পা নন্দী। —নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের কাছে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা করলেন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শিল্পা নন্দী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির তলব করায় সোমবার সকালে নিজাম প্যালেস যান তিনি। যদিও সে সময় তাঁকে কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি হুগলি জেলার সংসদ সভাপতি। পরে তিনি জানান, বিচারাধীন হওয়ায় এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন না।
হুগলি জেলার সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত যে নথিপত্র তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিল সিবিআই। সোমবার সে সমস্ত নথি জমা করেছেন তিনি। তবে তাঁর সিবিআই দফতরে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সালে যে সময় প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সে সময় অবশ্য সংসদের সভাপতি ছিলেন না শিল্পা। সে সময় হুগলি জেলার এই সংসদের সভাপতির পদে ছিলেন নির্মলেন্দু অধিকারী। সোমবার সিবিআই দফতরে তাঁকে বিশেষ কিছুই জিজ্ঞাসা করা হয়নি বলে দাবি শিল্পার। সিবিআইয়ের কাছে তিনি কী কী নথিপত্র বা তথ্য জমা করেছেন, সেটি গোপনীয় বিষয় বলেও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যা হয়েছে, তা বিচারাধীন বিষয়। তা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না।’’
কেন তাঁকে তলব করল সিবিআই? নিজাম প্যালেস থেকে ফিরে শিল্পা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তরফ থেকে ২০১৪ সালে টেট সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র জমা করতে বলা হয়েছিল। সে জন্য আজ (সোমবার) সিবিআই দফতরে গিয়েছিলাম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। সেই মতো রাজ্যের প্রতিটা জেলার প্রাইমারি কাউন্সিলগুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়মতো সিবিআই অফিসে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আজ আমি সেখানে ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র জমা করতে গিয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। এর আগেও বিভিন্ন তথ্য জমা দেওয়ার জন্য কয়েক বার সিবিআই দফতরে গিয়েছি আমরা। পরবর্তীকালে আবার যদি সিবিআই দফতরে ডাকা হয়, অবশ্যই যাব আমি।’’