Lightning

বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে অ্যাপ, মানুষকে সতর্ক করতে দল গঠন, একাধিক পদক্ষেপ হুগলিতে

সোমবার হুগলিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মঙ্গলবার তাঁদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, চাল, ত্রিপল তুলে দেয় জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০০:০৬
Share:

প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে হুগলি জেলা প্রশাসন প্রতীকী চিত্র।

বজ্রাঘাতে মৃত্যু ঠেকাতে এ বার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এক ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা হবে, যার সাহায্যে ঝড়বৃষ্টি অথবা বজ্রপাতের খবর আগে থেকেই জানা যাবে।

Advertisement

এ ছাড়া প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দল গঠন করা হচ্ছে। এই দলের কাজ হবে পূর্বাভাস বুঝে মানুষকে সতর্ক করা। বাইক অথবা চার চাকার মাধ্যমে ঘোষণা করার পাশাপাশি মাঠে চাষিদের সতর্ক করবে এই দল। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই চাষিরা যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। এতে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই মনে করছেন হুগলি জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

আরামবাগের মহকুমাশাসক নৃপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা রয়েছে। তাই এই ক’দিন প্রত্যেককে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে। বিকাল হলেই গত কয়েক দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার শুধু হুগলিতেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মঙ্গলবার তাঁদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, চাল, ত্রিপল তুলে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আরামবাগের মহকুমাশাসক ছাড়াও আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, উত্তরপাড়ার পুর প্রশাসক দিলীপ যাদব প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

খানাকুলের দম্পতি সুদর্শন ও মালবিকা গুছাইতের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। তাঁদের শিশু কন্যা রয়েছে। তার দেখভাল, পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা প্রশাসন দেখবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement