— প্রতীকী চিত্র।
ভরা পৌষ মাস, এ দিকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শীত জমে উঠেছে। বড় দিনের আগে তেতে উঠেছে কেকের বাজারও।
নাম করা বড় কোম্পানির সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে তৈরি কেকের চাহিদা তুঙ্গে। কেউ তার ট্যাগ লাইনে লিখছে ‘নস্টালজিয়ার স্বাদে মোড়া, সারা মাস ক্রিস্টমাস’। কেউ লিখছেন, ‘এ স্বাদের ভাগ হবে না’। অনেকে বলছেন, কেক, ক্রিকেট, কমলালেবু ছাড়া শীত যাপন যেন অসম্পূর্ণ।
কেকের নানান বিজ্ঞাপনে রয়েছে রকমারি ছবি। ডিলাইট ফ্রুট কেক, বাটার ফ্রুট কেক, রিচ ফ্রুট কেক, চকোলেট কেক, ডিলিসিয়াস কেক। কোনটা ডিম যুক্ত কেক, কোনটা ডিম ছাড়া কেক সবই দোকানের সামনে লেখা রয়েছে। তবে বহরমপুর কল্পনা মোড় লাগোয়া একটা নাম করা চায়ের দোকানে লেখা রয়েছে নিরামিষ কেক। শনিবার সেই কেক বিক্রি ভালই হয়েছে। আমিষ ও নিরামিষ কেক দাপটে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অনেক কেক বিক্রেতা জানাচ্ছেন নিরামিষ কেক বিক্রি বেশি হচ্ছে।
বেলডাঙার বাসিন্দা পলি গনাই বলেন, “আমি চার বছর ধরে হাতে তৈরি ঘরের কেক বিক্রি করি। সবটা নিরামিষ। সারা বছর বিক্রি আছে কেকের। কিন্তু শীতে বিশেষ করে বড় দিন, ইংরাজি নতুন বছরের আগে কেক বিক্রি লাফিয়ে বেড়ে যায়।” তিনি বলেন, ‘‘আমার এখানে মূলত চোকো, রেড ভেলভেট, বাটার স্কচ, পাইন্যাপেল, ম্যাঙ্গো, ব্লু বেরি, ক্রিম কেক, ড্রাই ফ্রুট, রসমালাই কেক সবই রয়েছে।’’
বেলডাঙার নবনীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কেক বিক্রি করি। হাতে তৈরি কেক। পুরোটা নিরামিষ। বড় দিনের আগে ভালই চাহিদা রয়েছে। ২০ মিনিট বেক করে তারপর ডিজাইন করে কেক তৈরি হয়। ফেসবুক ছবি সহ কেকের বিজ্ঞাপন দিয়ে বোর্ড লাগিয়ে সাধারণ প্রচার করেছি। তাতে কেক বিক্রি ভালই হয়। ড্রাই ফ্রুট থেকে চকোলেট, বাটার স্কচ, স্ট্রবেরি সব ধরনের কেক রয়েছে। নিরামিষ কেকের চাহিদা আমার কাছে ভালই।”
কেকের দাম কেমন? আমিষ ও নিরামিষ ছোট কেক ৫০ টাকা থেকে শুরু। এক পাউন্ড কেকের দাম ৫০০ টাকার কম নয়।
বহরমপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব হালদার বলেন, “চকলেট, চিপস, কুকিস, কেক, ক্রিসমাস ট্রি, সান্টা নিয়ে মেতেছে সকলে। সর্বত্র রয়েছে চকলেট ট্রাফল কেক, লগ কেক, ডার্ক চকলেট পেস্ট্রি। জমে উঠছে বড় দিনের উৎসব।”
একটু বড় কেক ৫০ টাকা থেকে শুরু। এক পাউন্ড কেকের দাম ৫০০ টাকার কম নয়।