Jangal Mahal

জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফের ২টি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ

জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ-কে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৩
Share:

জঙ্গলমহলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ।—নিজস্ব চিত্র।

অমিত শাহের সফরের মধ্যেই জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ। নভেম্বরের মধ্যে সিআরপিএফের দু’টি ব্যাটালয়নকে শিবির গুটিয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে সিআরপিএফ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। সেই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ-কে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সিআরপিএফ-এর তরফে ওই নির্দেশিকা জারি করে মোট ছ’টি ব্যাটালিয়নে রদবদল ঘটানোর কথা বলা হয়, যা কিনা বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলার জঙ্গলমহলে ৫০ ও ১৬৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের ১৪ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। মূলত পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন শিবিরে মাওবাদীদের মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে তারা। এদের মধ্যে ৮ কোম্পানি বাহিনীকে ইতিমধ্যেই বিহারে বিধানসভা ভোটের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাকি ৬ কোম্পানি বাহিনীকে ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যাটালিয়েনের আধিকারিকদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে ছত্তীসগঢ়ে রায়পুর এবং মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সংশ্লিষ্ট আইইদের সঙ্গে কথা বলে কোথায় নতুন শিবির তৈরি করা হবে, সে বিষয়টি পাকা করে নিতে হবে। সেই অনুযায়ী ২০ নভেম্বরের মধ্যে জঙ্গলমহল থেকে শিবির গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। তাদের জন্য স্পেশ্যাল ট্রেনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের মহাসচিবকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাহী বৈঠকে শোভন-বৈশাখী, রাতে সাক্ষাৎ শহরের হোটেলে​

ঝাড়গ্রামের কাঁকরাঝো়ড়, বুড়িঝোড় স্পর্শকাতর জায়গা হিসেবে পরিচিত। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপ, মাঠা এবং পাথরবাঁধ এলাকায় বর্তমানে বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তারা চলে গেলে ওই এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পড়বে রাজ্য সরকারের উপরেই। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন বাহিনীকে ওই শিবিরগুলিতে মোতায়েন করতে হবে সরকারকে।

বিগত কয়েক বছরে জঙ্গলমহলে সেই ধরনের কোনও বড় নাশকতা ঘটায়নি মাওবাদীরা। তবে সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড থেকে সেখানে মাওবাদীদের ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই জঙ্গলমহলের নিরাপত্তাই রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: টিটাগড়ে জুটমিলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন​

শুধু বাংলাই নয়, ঝাড়খণ্ডের ১৯৬ এবং বিহারের ১৩১ এবং ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নকেও ছত্তীসগঢ়ে সরিয়ে নিয়েও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪৮ নম্বর ব্যাটালিয়নকে উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement