হাওয়ায় হাওয়ায়: বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের পড়ুয়াদের আবির খেলা সোনাঝুরিতে। —নিজস্ব চিত্র
দোলের দিন রাস্তায় চলে ফিরে বেড়াচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেল। ফাঁকা রাস্তায় স্বচ্ছন্দে হাঁটাচলা করছেন মানুষজন। কোনও যানজট নেই, কোনও কোলাহল নেই। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্বভারতী বসন্তোৎসব বাতিল করে দেওয়ায় সোমবার শান্তিনিকেতনে এমনই কার্যত ‘অবিশ্বাস্য’ ছবি দেখা গেল।
উৎসব বাতিল হলেও পর্যটক অবশ্য নেহাত কম আসেননি বোলপুর-শান্তিনিকেতনে। তাঁদের অনেকে শান্তিনিকেতন দেখতেও এসেছিলেন। অনেককে রাস্তায় বিক্রি হওয়া পলাশ ফুলের মালা কিনতেও দেখা যায়। কিন্তু এ দিন নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। এ দিন সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর মূল ক্যাম্পাসের সমস্ত প্রবেশপথ ছিল বন্ধ।
কালীসায়র থেকে বিশ্বভারতী আসার যে মূল রাস্তা ধরে এলে সঙ্গীতভবন, কলাভবন, পাঠভবন, রবীন্দ্রভবন বা উপাসনাগৃহ দেখতে পাওয়া যায়, সেই পথও এ দিন বন্ধ রাখা হয়। ফলে পর্যটকদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদেরও। সঙ্গে পরিচয়পত্র না থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদেরও ওই পথ ব্যবহারের অনুমতি দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: করোনার রংবাজি উড়িয়েই দোলে মাতলেন ব্রাত্য-দিলীপ-মিমি-নচিরা
বিকল্প: বসন্তোৎসবের দিনে সুনসান শান্তিনিকেতন। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
শান্তিনিকেতন দেখতে এসেও ক্যাম্পাস চত্বরে প্রবেশ করতে না পেরে পর্যটকেরা ভিড় জমান সোনাঝুরিতে। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অনেক ছাত্র-ছাত্রীও। সেখানেই পর্যটক ও পড়ুয়ারা দোল খেলায় মেতে উঠে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান। আসপাশের রিসোর্টগুলির উদ্যোগেও সেখানে আবির খেলা, বাউল গানের আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতা থেকে আসা পর্যটক বললেন, ‘‘হোটেল বুকিং বাতিল না করে চলেই এসেছি। ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে সোনাঝুরিতে এসেই নিজেদের মতো করে দোলের আনন্দে শামিল হয়েছি।’’
সোনাঝুরিতে রং খেলায় মাতলেন পর্যটকেরা। সোমবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্বভারতীর চিনা ভবনে চিনা প্রতিনিধিদলের সফর কিছুদিন আগেই বাতিল করেছে বিশ্বভারতী। এ দিন অবশ্য সোনাঝুরিতে দেখা গিয়েছে চিনা ভবনের পড়ুয়া-শিক্ষকদেরও। তাঁরাও সবার সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন।