—ফাইল চিত্র
ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য রাজ্য জুড়ে ১৮ দিনের বিশেষ শিবির করেছিল খাদ্য দফতর। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ক’দিনে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মুর্শিদাবাদে প্রায় পৌনে ১৩ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। সম্প্রতি মেদিনীপুর সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিটাল রেশন কার্ড আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। ফের ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আবেদন গ্রহণের শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় সব থেকে বেশি আবেদন পড়েছে রেশন কার্ডে নাম, ঠিকানা, পদবি পরিবর্তনের জন্য।
জেলা খাদ্য নিয়ামক মহম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা জেনেছি ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণে আমাদের জেলা রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে। প্রায় পৌনো ১৩ লক্ষ আবেদনের মধ্যে ৭ লক্ষ ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে নাম, ঠিকানা, সংশোধনের জন্য।’’
সূত্রের খবর অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে এ রাজ্যের লোকজন, বিশেষত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জেলার লোকজনের নথি সংশোধনে আগ্রহ বেশি। যদিও প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘এনআরসি-র সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না।’’
তার পরেও অবশ্য ভয় কাটছে না অনেকেরই। ইতিমধ্যে এনআরসি আতঙ্কে ডোমকলে ও হরিহরপাড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের পরিবারের অভিযোগ।
তবে জেলা প্রশাসন থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, রেশন কার্ডের আবেদন কিংবা ভোটার তথ্য যাচাইয়ের সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে এ ব্যাপারে লোকজনকে সচেতনও করা হচ্ছে। তার পরেও ভয় কিন্তু কাটছে না।