২ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এ বছর পড়ুয়াদের নিজের স্কুলেই পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বুধবার সংসদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, এ বছর প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁরা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি, সংসদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
মঙ্গলবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর, রাজ্য প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে বৈঠক করেন সংসদের কয়েক জন প্রতিনিধি। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, এ বছর উচ্চমাধ্যমিকের সব ক’টি অর্থাৎ ৬ হাজার ৬২৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রেই বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। যদি কোনও কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে সেখানে পর্ষদের নিয়োগ করা আধিকারিক থাকবেন। সংসদের এক কর্তা জানান, সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যের প্রধান শিক্ষাসচিব ও জেলা প্রশাসন সর্বত ভাবে সংসদকে সহযোগিতা করছেন।
বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ ছাড়াও নির্বিঘ্নে পরীক্ষার জন্য সংসদের তরফে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কক্ষে দু’জন করে পরিদর্শক নিয়োগ করা হবে। তাঁদের এক জন কক্ষের ভিতর ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাবেন। আর অন্য জন, পরীক্ষা-সংক্রান্ত অন্যান্য কাজকর্ম করবেন। কক্ষের ভিতর কোনও পড়ুয়া মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকেছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব মূলত তাঁদেরই। কক্ষের ভিতর কোনও মোবাইল নেই, নিশ্চিত হওয়ার পরেই প্রশ্নপত্র বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংসদের স্পষ্ট নির্দেশ, যে বিষয়ের উপর পরীক্ষা, সেই বিষয়ের কোনও শিক্ষককে পরিদর্শকের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। পাশাপাশি, পরিদর্শকের বিরুদ্ধে নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এ ছাড়াও, সংসদ জানিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর স্কুলের কোনও শিক্ষক এবং অ-শিক্ষককর্মী বাইরে বেরোতে পারবেন না।
২ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা পরবর্তী মূল্যায়নে ১,৫০০ জন প্রধান পরীক্ষক ও ৬০ হাজার পরীক্ষক যুক্ত থাকবেন। ২৫ মার্চ থেকে উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, মেদিনীপুর ও কলকাতা— রাজ্যের চার আঞ্চলিক কার্যালয়ের অন্তর্গত ৫৫টি ক্যাম্প থেকে অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই চলছে ত্রুটি সংশোধনের কাজ। পরীক্ষা গ্রহণের সমস্ত প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্ষায়ে বলেই বুধবার জানানো হয়েছে সংসদের তরফে।