school

High Court: স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি আরও বাড়বে? সরকারি কৌঁসুলির কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট

গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে মৌসুমি বায়ু। অনেকাংশে কমে গিয়েছে গরমের দাপটও। অনেকেরই প্রশ্ন, এই অবস্থায় স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ০৫:৩০
Share:

ফাইল ছবি।

প্রথম দফায় স্কুলে গ্রীষ্মাবকাশ এগিয়ে এনে তার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল এবং দ্বিতীয় দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আরও ১১ দিন। দ্বিতীয় দফার ছুটি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট সোমবার সরকার পক্ষের উদ্দেশে প্রশ্ন করে, গরমের ছুটি আরও বাড়ানো হবে কি না? সরকারি কৌঁসুলি সম্রাট সেন জানান, সবই নির্ভর করছে আবহাওয়ার মতিগতির উপরে।

Advertisement

রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাড়তি গরমের ছুটি সংক্রান্ত মামলার শুনানি এ দিন শেষ হলেও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে।

মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, গরমের দাপট নেই, অথচ সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গ্রীষ্মাবকাশ চলছে। দীর্ঘ অতিমারিতে পঠনপাঠন এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার উপরে গরমের ছুটি এ ভাবে দীর্ঘায়িত হতে থাকায় ছেলেমেয়েদের ক্ষতির বহর বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার পক্ষের বক্তব্য, বিভিন্ন জেলায় গরমের দাপট দেখেই ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এ দিকে, এ দিনেই কলকাতার বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল খুলে গিয়েছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গে বর্ষা পৌঁছে গিয়েছিল জুনের গোড়াতেই। দক্ষিণে বেশ কয়েক দিন দেরি হলেও মৌসুমি বায়ু গত শনিবার হাজির হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। এ দিনই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুরো দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ছড়িয়ে পড়েছে। যার অর্থ, গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে মৌসুমি বায়ু। অনেকাংশে কমে গিয়েছে গরমের দাপটও। অনেকেরই প্রশ্ন, এই অবস্থায় স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন?

এ বার মে মাসে দিন কয়েকের তাপপ্রবাহের জেরে গরমের ছুটি এগিয়ে এনে তার মেয়াদ বাড়িয়ে ৪৫ দিন করা হয়। প্রথম নির্দেশে ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকলেও জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আচমকা সেই ছুটি আরও ১১ দিন বাড়িয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রথমেই টানা ৪৫ দিনের গ্রীষ্মাবকাশ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তার উপরে আবার ১১ দিন ছুটি বাড়ানো হল কেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। এ ভাবে ছুটি বৃদ্ধির বিরোধিতা করেন শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অনেকেই। রাজ্য সরকারের তরফে আবহাওয়ার মতিগতির উপরে ভিত্তি করে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হলেও জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যের কোনও প্রান্তেই অসহনীয় গরমের কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি আবহাওয়া দফতর।

দীর্ঘায়িত গরমের ছুটিতে মিড-ডে মিল বন্ধ নিয়েও অভিযোগ উঠছে। হাই কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা দাবি করেন, মিড-মে মিল মোটেই বন্ধ নেই। তবে অনেকেরই বক্তব্য, স্কুল বন্ধ থাকলে মিড-ডে মিলের চাল, আলু, চিনি ইত্যাদি বিতরণ করা হলেও রান্না করা খাবার দেওয়া হয় না। সে-ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা দৈনিক পারিশ্রমিকে নিযুক্ত কর্মীদের খরচ বাঁচে কি না, সেই প্রশ্নও ওঠা জরুরি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement