ফাইল চিত্র।
শুধু যে প্রশ্ন উঠছিল, তা-ই নয়।অতিমারির দরুন বাড়িতে বসে কাজ করার তাগিদ যখন ব্যাপক ভাবে বেড়েগিয়েছে, তখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলাও দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে।
পরীক্ষার দিনগুলিতে বিভিন্ন জেলায় চার ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধের সরকারি নির্দেশিকার উপরে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী এ দিন আদালতে গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখিয়ে মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর কথা বলেন। কিন্তু সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের পর্যবেক্ষণ, ১৪৪ ধারা জারি করে এ ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা ঠিক হয়নি। মুখে প্রশ্ন ফাঁসের কথা বললেও তা উল্লেখ করা হয়নি সরকারি নির্দেশিকায়। তবে সরকার চাইলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবীদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, নতুন ভাবে নির্দিষ্ট তথ্য এবং যুক্তির ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তা না-হলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার দিনে আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা যাবে না।
সরকার নেট বন্ধের নির্দেশিকায় সরাসরি না-বললেও বিভিন্ন স্তরের অনেকের ধারণা, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এবং সেই সংক্রান্ত ‘গুজব’ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট কার্যত জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। ব্যাঙ্কিং, অফিসের কাজকর্ম, ইন্টারভিউ, অনলাইন কোচিং, মিটিং-সহ বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে ইন্টারনেট ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। অবশ্য প্রয়োজনের এই পরিস্থিতিতে আচমকা নেট বন্ধ করে রাখলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। এ ভাবে ইন্টারনেটের মতো জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখা ব্যক্তিমানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও অভিযোগ উঠেছিল।