পৃথক দু’টি মামলায় বন্ডের টাকা জমা নিয়ে দুই চিকিৎসকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব শংসাপত্র ফেরত দিতে হবে বলে সোমবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ওই দুই চিকিৎসকের আইনজীবী কল্লোল বসু জানান, চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য প্যাথলজিতে এমডি ডিগ্রি নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী সরকারি কলেজে এক বছর কাজ করেছেন। তিনি যে-বছর পড়তে যান, সেই সময় বন্ডের শর্ত ছিল, সরকারি হাসপাতালে এক বছর পরিষেবা দিতে হবে অথবা ১০ লক্ষ টাকা সরকারের কাছে জমা দিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র ফেরত নিতে হবে। নদিয়ার তেহট্টের সরকারি হাসপাতালে এক বছর চাকরি করে পদত্যাগ করেন দেবাশিসবাবু। রাজ্য সরকার বন্ডের টাকা জমা নিয়ে শংসাপত্র ফেরত দিতে রাজি না-হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেন ওই চিকিৎসক। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বন্ডের টাকা নিতে না-চাওয়ায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ফের মামলা করা হয়। প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, বন্ডের টাকা জমা নিয়ে শংসাপত্র ফেরত দিতে হবে। রাজ্য তা ফেরত দিল কি না, তা আজ, মঙ্গলবার সকালে জানাতে হবে চিকিৎসকের কৌঁসুলি কল্লোলবাবুকে।
অসম থেকে এ রাজ্যে শিশুরোগ চিকিৎসায় পিডি ডিপ্লোমা পড়ে আসা অনুরাগ সাহার কাছ থেকে বন্ডের ২০ লক্ষ টাকা জমা নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম সিংহ। আইনজীবী জানান, ওই চিকিৎসক অসমের সরকারি হাসপাতালে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর বাবা শয্যাশায়ী। বন্ডের টাকা নিয়ে শংসাপত্র ফেরত দিচ্ছিল না রাজ্য সরকার। সেই জন্য মামলা করেন তিনি।
আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, চিকিৎসকদের বন্ড সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি এখন বলবৎ করা যাবে না। সেই নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ এ দিন ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।