ফাইল ছবি
কলকাতা পুরভোটে বুথ দখল ও হাঙ্গামার একটি ঘটনায় লালবাজারকে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। সম্প্রতি বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশ, তদন্তে কলকাতা পুলিশের কোনও যুগ্ম কমিশনার বা তার থেকে উঁচু পদে থাকা কোনও কর্তাকে নজরদারি করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বৈধ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া, বুথ দখল করা গুরুতর অভিযোগ। দেশের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তাই কোর্টের নির্দেশ, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না-ঘটে তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপও করতে হবে পুলিশকে।
কলকাতা পুরসভার সর্বশেষ ভোটে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী হিংসা এবং ভোট লুঠের অভিযোগ করে কংগ্রেস। তাঁদের প্রার্থী সন্তোষ পাঠক এবং নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তীর উপরে আক্রমণও হয়েছিল। এই ঘটনায় ১৩ জন দুষ্কৃতী এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার দু জন সাব-ইন্সপেক্টরের নামে পুলিশে অভিযোগ জানান অমিতাভবাবু। কিন্তু অভিযোগের সুরাহা না-হওয়ায় তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কোর্ট পুলিশের কাছে তদন্তের রিপোর্ট তলব করে। কিন্তু তার পরেও তদন্তের অগ্রগতি না-হওয়ায় অমিতাভবাবুর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় পুলিশকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিতে হাই কোর্টে আর্জি জানান। মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলিরা দাবি করেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তও চলছে।
আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের পর রবিশঙ্করবাবুর আশা, ‘‘এ বার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।’’ অন্যথায় তাঁরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। অমিতাভবাবু বলছেন, ‘‘আশা করছি, পুলিশি মদতে হিংসা বন্ধ হবে।’’