Eastern Zonal Council Meeting

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না দু’পক্ষই

পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকে ৫ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন শাহ। থাকবেন মন্ত্রকের কর্তারাও। ওই পরিষদের চেয়ারম্যান অমিতের সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ০৭:০৪
Share:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আলাদা করে বৈঠকের সম্ভাবনা। ফাইল চিত্র।

পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকের আগে বা পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র আলাদা করে কোনও বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সরকারি ভাবে কোনও পক্ষ থেকেই এমন বৈঠকের কথা বলা হয়নি। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ অবশ্য এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দিতে চাইছেন না।

Advertisement

ওই বৈঠকে যোগ দিতে ৫ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন শাহ। থাকবেন মন্ত্রকের কর্তারাও। আসার কথা নীতীশ কুমারেরও। ওই পরিষদের চেয়ারম্যান অমিতের সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতারও। ফলে বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম। এই অবস্থায় অতিথি-অভ্যাগতদের আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না রাজ্য। শুক্রবার তারই প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

ওই বৈঠকের আগে বা পরে মমতার সঙ্গে শাহের আলাদা করে কোনও বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সরকারি ভাবে কোনও পক্ষ থেকেই এমন বৈঠকের কথা বলা হয়নি। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ অবশ্য এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দিতে চাইছেন না।

Advertisement

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বাকিদের আপ্যায়নে কী উপহার দেওয়া হবে, তা স্থির করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। চালু প্রথা মেনে বাংলার নিজস্ব শৈল্পিক চাদর, হস্তশিল্প দেওয়া হতে পারে অতিথিদের। এ সবের তত্ত্বাবধানে থাকবে শিল্প দফতর। নবান্ন সভাঘরে হতে চলা ওই বৈঠকের নিরাপত্তার যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।

প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০২০-তে পরিষদের বৈঠক হয়েছিল ওড়িশায়। তখনও অমিত-মমতা ছিলেন বৈঠকে। তার আগের বার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হয়েছিল। সে বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিংহ। তখনও রাজ্যের তরফে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়েছিল প্রথা মতোই।

পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল পরিষদের বৈঠক স্থির হয়ে থাকে। ওড়িশায় হওয়া বৈঠকের আগে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের (সিএএ) রাজনৈতিক উত্তাপ ছিল। এ বার তেমন বিশেষ কোনও বিষয় না থাকলেও, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধী এ রাজ্য।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পঞ্জাব ও অসমে বিএসএফ-এর কাজের এলাকা-এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, বিএসএফ-এর কাজের এক্তিয়ার হিসাবে যে এলাকাবৃদ্ধি করা হয়েছে, তা রাজ্য পুলিশের আওতাধীন। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা এই সিদ্ধান্তের তাই বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, আসন্ন বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ ওঠার একটা সম্ভাবনা এড়ানো যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement