Landslides in Sikkim

উত্তর সিকিমের সিংথামে ধস, পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে পিষে দিল যাত্রিবাহী গাড়ি, মৃত ১, আহত অনেক

কয়েক দিন ধরে সিকিমের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। তার জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩৪
Share:

ধসে চাপা পড়া সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

ভারী বৃষ্টি আর ধসের জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় ধসও নামছে। পরিস্থিতি খারাপ উত্তর সিকিমের। সেখানে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। সেই ধসেরই শিকার হয়েছে একটি যাত্রিবাহী গাড়ি। মৃত্যু হয়েছে এক আরোহীর। আহত বেশ কয়েক জন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের সিংথামে একটি যাত্রিবাহী গাড়ি ধসে চাপা পড়ে। গাড়িটি লিঙি থেকে সিংথামের দিকে আসছিল। মাখা সিংবেলের কাছে পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে রাস্তার উপরে ধস নেমে আসে। সেই সময় গাড়িটি ওই রাস্তা ধরেই যাচ্ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিশাল একটি পাথর গাড়ির উপর এসে পড়ে। ফলে গাড়ির একাংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলার মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত কয়েক দিন ধরেই সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। আর এই ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং নিজে গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন।

Advertisement

ভারী বৃষ্টি আর ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যা দেখা গিয়েছে। আলাগড় রোড হয়ে গোস-খান-লাইন দিয়ে বিকল্প যে রাস্তা রয়েছে, মেরামতির কারণে সেটিও বন্ধ। ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। যদিও গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ির যোগাযোগের জন্য তিস্তাবাজার-দার্জিলিং রোড খোলা রয়েছে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতল এলাকায়। বৃষ্টির ফলে জলস্তর বেড়েছে পাহাড় এবং সমতলের বিভিন্ন নদীতে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে বৃষ্টি চলছে। টানা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর বেড়েছে। কালিঝোরা, গেইলখোলা, বিরিকদাড়া, ২৯ মাইলস লোহাপুলে রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ধসে গিয়েছে। তিস্তার জল বসতি এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে তিস্তার পার সংলগ্ন বাসিন্দাদের মধ্যে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী কয়েক দিন। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার এবং শনিবার। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে কিছু এলাকায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহেও। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement