দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে কয়েকদিন।—ফাইল চিত্র।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির হাত থেকে আপতত রেহাই পাচ্ছে না উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। আগামী বৃহস্পতিবারের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। এই ক’দিন টানা বৃষ্টির জেরে পার্বত্য এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্য দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হিমালয় পাদদেশে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে। তার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সে কারণে আগামী চার দিন শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সিকিম, অসম, মেঘালয়, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উত্তপ্ত হেমতাবাদ, তীব্র আক্রমণে বিজেপি
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ছাড়াও মশাবাহিত এই জ্বর নিয়ে সতর্ক থাকতেই হবে বর্ষায়, কী বলছেন চিকিৎসকরা
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ঝেঁপে বৃষ্টি হবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। বীরভূম,মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
বৃষ্টি হলেও রাজ্যে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৫.৭ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম।