বুলবুল নিয়ে প্রবল সতর্কতা বকখালিতে। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আতঙ্কে কাঁপছে সাগরদ্বীপ, বকখালি-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। অতি ভয়ঙ্কর ওই ঘূর্ণিঝড় দিঘা ও সাগরদ্বীপ থেকে দুপুর দুটো নাগাদ প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে ছিল।
তার প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগও বাড়ছে। শুক্রবার থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। শনিবার সকালেও অনেক বাসিন্দাকে ঘর ছাড়তে হয়েছে।
বুলবুল নিয়ে ব্যাপক সর্তকতা কাকদ্বীপ মহকুমা জুড়েই। শুক্রবার রাত থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল প্রশাসন। এ দিন সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। পরের দিকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দিঘা-সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৯৫ কিমি দূরে বুলবুল, জলোচ্ছ্বাস-বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া উপকূলে
শুক্রবার কাকদ্বীপ সাগর নামখানা এবং পাথরপ্রতিমা মিলিয়ে মোট ৬৪টা ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। চারটি ব্লকে সাতটি কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ এবং বকখালিতে অবস্থান করছে। বকখালিতে রয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। তিনি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলার পরিস্থিতি নজরদারি করছেন।
দেখুন ভিডিয়ো—
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ ট্রলার ফিরিয়ে আনা হয়েছে গভীর সমুদ্র থেকে। বকখালি থেকে গতকাল থেকেই দূরবর্তী পর্যটকরা ফিরে যেতে শুরু করেছিলেন। শনিবার সকালেও বেশ কিছু পর্যটক ফিরে গিয়েছেন। মৌসুনি দ্বীপ-সহ নামখানার এবং পাথরপ্রতিমার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন এলাকা জলস্ফীতি প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ত্রাণশিবিরে মজুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, মসজিদ বিকল্প জায়গায়
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সাতকাহন