কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। ফাইল ছবি।
ক্যালেন্ডার বলছে, বৈশাখ মাস শুরু হতে এখনও দিন দুয়েক দেরি আছে। কিন্তু আবহাওয়া ক্যালেন্ডারের সেই হিসাব মানছে না। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই গ্রীষ্মের দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে বলে সকালেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল হাওয়া অফিস। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে শহরে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। তাপপ্রবাহ চলবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়।
বৃহস্পতিবারের তাপপ্রবাহের তালিকায় কলকাতা ছাড়াও রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান। এ ছাড়া, আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রতি দিনই দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। বাদ যাবে না পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াও।
এই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি রয়েছে। তাপপ্রবাহের সময় আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
হাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার দুপুরে যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ১৭ তারিখের পর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় ‘সামান্য পরিবর্তন’ হতে পারে। তবে কী পরিবর্তন হবে, গরম কমবে কি না, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহে আছে কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গরমের ছুটিও এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার ২ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাবে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। প্রাথমিক ভাবে ২৪ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল।